বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে বেসরকারি ছয়টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ ১০টি ব্যাংকের মোট প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা।
ব্যাংকগুলো হলো: ন্যাশনাল ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংক।
নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে তাদের আমানতের ০.৫০% থেকে ৫% প্রভিশন বজায় রাখতে হবে। তবে, প্রভিশনিংয়ের প্রয়োজনীয়তা খেলাপি ঋণের শ্রেণিবিন্যাসের ওপর নির্ভর করে ২০% থেকে ১০০% পর্যন্ত হতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ব্যাংকিং খাতে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে ৪,৯৬৩ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চের শেষ পর্যন্ত এ খাতে প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২,১১,৩৯১ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
জুন প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) শ্রেণিকৃত ঋণ ৩০ মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২৯ হাজার ৯৬ কোটি টাকা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শ্রেণিকৃত ঋণের সবচেয়ে বড় অংশ রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর (১ লাখ ২ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা বা ৩২ দশমিক ৭৭ শতাংশ), বিশেষায়িত ব্যাংক (৫ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ), বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক (৯৯ হাজার ৯২১ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ) এবং বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ৩ হাজার ২২৯ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ ঋণ রয়েছে।
বাসস