দেশের ব্যাংক খাতে লুটপাটে অভিযুক্ত আলোচিত ও বিতর্কিত গ্রুপ এস আলমের দখল থেকে আরও দুটি ব্যাংক মুক্ত হলো। ব্যাংক দুটি হলো আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। এগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে এস আলম গ্রুপের কবল থেকে আটটি ব্যাংক দখলমুক্ত হলো।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক দুটি আদেশে পর্ষদ বাতিল ও পুনর্গঠন করা হয়। এতদিন এই ব্যাংক দুটির মালিকানায় ছিলেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা।ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ৪৭(১) এবং ৪৮(১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আগের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
একইসঙ্গে ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক এ দুটি ব্যাংকে পরিচালকদের নিয়োগ দিয়েছে।আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়ার। এই ব্যাংকের চার স্বতন্ত্র পরিচালক হচ্ছেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, এনআরবি ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান।অপরদিকে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের চার পরিচালক হচ্ছেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আতাউর রহামান, মেঘনা ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মহসিন মিয়া, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব কামরুল হক মারুফ, জনতা ব্যাংক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট শেখ আশ্বাফুজ্জামান।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। এরপর আত্মগোপনে গিয়ে গভর্নর পদ থেকে পদত্যাগ করেন আব্দুর রউফ তালুকদার। নতুন গভর্নর হিসেবে যোগ দেন ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি এসে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন শুরু করেন। বিশেষ করে ব্যাংক দখলমুক্তকরণের উদ্যোগ নেন।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক