বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী ই-স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশীপ আয়োজন করে বেসিস। প্রথমবারের মতো পুরুষ গেমারদের পাশাপাশি নারী গেমারদের জন্য ছিল ই-স্পোর্টস। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বেসিস সফটএক্সপোতে’ এই ই-স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়। এতে বিজয়ী হয়েছে টিম সেলেস্টিয়ালস। এছাড়া ২য় স্থান অর্জন করেছে ওয়াসাবি সাইরেন এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে টিম জেটস অফ।
বিজয়ী দল হিসেবে তারা সর্বমোট ১’লাখ টাকা পেয়েছে। ৫০’জন নারীর ৮টি টিম ই-স্পোর্টসে অংশগ্রহণ করে। সেখান থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ে তিনটি টিম ফাইনালে অংশগ্রহণ করে। ভ্যালোরেন্ট পিজি গেমে অংশ নেয় তারা। পাশাপাশি পুরুষদের প্রায় ৮০টি টিমের ৫০০ জন এই খেলায় অংশ নিয়েছে। ভ্যালোরেন্ট, সিএসগো, এমএলবিবি এবং ফিফা গেমে অংশ নেয় তারা। সিএসগো গেমে ই-স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী হয়েছে টিম গ্রেড বাইবারস, আনারআপ হয়েছে ম্যান আই লাভ ফিশিং। ভ্যালোরেন্ট গেমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম এক্সেজেলিস স্পোর্টস, রানারআপ হয়েছে টিম হেড হান্টার্স। অন্যান্য ক্যাটাগরি মিলিয়ে মোট ৬ লাখ টাকার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিস পরিচালক একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু ও তানভীর হোসেন খান। তিনি বলেন, গেমারদের অংশগ্রহণে গেমিং আয়োজনটা বেশ সুন্দর হয়েছে। এইটাকে আরও স্কিলফুল করতে হবে। এখানে যারা জয়লাভ করেছে তাদের বিশ্বমঞ্চের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ই-স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের মূল আয়োজক অ্যাঙ্গুলার ই-স্পোর্টস লিমিটেড। পিসি স্পন্সর গিগাবাইট এবং অরজ। অ্যাঙ্গুলার ই-স্পোর্টস লিমিটেড কো-ফাউন্ডার সোলাইমান হাসান বলেন, প্রচুর সাড়া পেয়েছি গত ৪ দিন। ই-স্পোর্টসের এই ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের বিস্তৃতি। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ আমাদেরকে ভার্চ্যুয়ালি একে অন্যের সাথে যুক্ত থাকতে সাহায্য করছে, যার ফলে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া আরও সহজ হয়ে উঠছে। পাশপাশি ভালোমানের গেমিং সরঞ্জাম ও কম্পিউটার আগের চেয়ে সহজলভ্য হয়েছে, যার ফলে আরও বেশি মানুষ ই-স্পোর্টসের সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
গেমে অংশ নেওয়া আরিফুর রহমান জানান, বেসিস ই-স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ ইভেন্ট হলো আমার জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এই ইভেন্টে বিভিন্ন ধরনের গেম খেলা গিয়েছে। ভ্যালোরেন্ট, মোবাইল লেজেন্ড, ব্যাং ব্যাং থেকে শুরু করে সিএসগো এবং ফিফা গেমের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ভ্যালোরেন্ট সব থেকে ভালো লেগেছে, কারণ এই গেমটি বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয়।
প্রতিনিয়ত গেমার বৃদ্ধি পাওয়ায় আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার দিকে এগুচ্ছে ই-স্পোর্টস। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনলাইন কিংবা অফলাইন মাধ্যমে প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণে যে প্রতিযোগিতামূলক ভিডিও গেমস খেলা হয়, সাধারণত তাকেই ইলেকট্রনিক স্পোর্টস বলা হয়। নিছক বিনোদনের পাশাপাশি অনেক সময় বাণিজ্যিক পরিসরেও ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়ে থাকে।