২০৫০’সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ প্রবীণ হয়ে যাবে। ওই বয়সের জন্য কতটা প্রস্তুত দেশের তরুণ প্রজন্ম? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নবীনদের মধ্যে প্রবীণ বয়স নিয়ে প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া, প্রবীণদের নিয়ে সরকারের আইন ও চিকিৎসা অপ্রতুল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সুনামগঞ্জের ৭০ ঊর্ধ্ব জয়নাল আবেদীন। জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ে তাকে আসতে হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। বয়সে প্রবীণ হলেও এখনও পাননি বয়স্ক ভাতা। কথা হয় জয়নাল আবেদিনের সঙ্গে। জীবনের নানা সমস্যার কথা জানান তিনি। জয়নালের মতো শেষ বয়সের এমন অর্থনৈতিক নিরাপত্তহীনতার গল্প খুঁজে পাওয়া যাবে আরও। সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে এক কোটি ৫০ লাখ প্রবীণ নাগরিক রয়েছে। ২০৫০ সালে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ৪ কোটিতে। তাই আজকের তরুণ, দুই-এক দশক পরেই তারাই হবেন প্রবীণ। সেই জীবন নিয়ে কী ভাবছে তারা? তরুণ-যুবাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জীবনে টিকে থাকার লড়াইয়ে আগামী ৫-১০ বছর পরের ভাবনা থাকলেও ২০৫০-এ নিজেদের আর দেখতে পান না তারা।

পিকেএসএফ চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান মনে করেন, অপ্রতুল ভাতা আর বাবা-মাকে দেখভাল আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় উপেক্ষিত প্রবীণরা। অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বৃদ্ধভাতার অপ্রতুলতার বিষয়টি স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, ভাতা বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। তবে, শুধু রাষ্ট্র নয়, সমাজ ব্যবস্থা হতে হবে সচেতন। একাকিত্ব দূর করতে বৃদ্ধদের সৃজনশীল প্রক্রিয়ার ভেতরে আনার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে