করোনা অতিমারির কারণে অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ থাকায় মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। গবেষকরা বলছেন, করোনায় বেকারত্ব বাড়লেও কত মানুষ কর্মহীন তার সঠিক হিসাব নেই। তবে কর্মসংস্থানের বাজারে নানা পরিবর্তন শুরু হওয়ায় আগামীতে উচ্চ শিক্ষিত প্রায় এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বড় চ্যালেঞ্জ।

সরকারি হিসাবে, বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৬ কোটি ৩৫ লাখের মধ্যে কাজে যুক্ত আছেন ৬’কোটি ৮’লাখ মানুষ। এসব কর্মীর প্রায় ৪’ভাগ সরকারি চাকরি করেন আর বাকী ৯৬’ভাগই বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। শুধু পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অধিনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও করোনার কারণে এক বছরের বেশি সময় বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের অধিনে সরকারি এবং ব্যক্তি ও বেসরকারি খাতে নিয়োগ পরীক্ষাগুলো বন্ধ কিংবা স্থগিত রয়েছে। ফলে চাকরি প্রার্থীরা আছেন মানসিক চাপে।

পাবলিক সার্ভিস কমিশন বলছে, যেসব সরকারি চাকরির জন্য ইতিমধ্যে প্রার্থীরা আবেদন করেছেন তাদের বয়স ৩০’বছর পার হয়ে গেলেও সমস্যা নেই। পরিসংখ্যান ব্যুরো’র ২০১৭ সালের শ্রম জরিপ অনুযায়ী দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা ২৭’লাখ। করোনায় এই হার দশগুন বেড়েছিল গত বছরের জুলাইয়ে। অন্যদিকে বছরে গড়ে ২০ লাখ তরুন চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। সেই হিসাবে গত প্রায় দু বছরে ৪০ লাখ তরুন বয়সের দিক থেকে চাকরির বাজারে প্রবেশ করেছে, তবে চাকরি পায়নি। এই গবেষক বলছেন, করোনায় চাকরির বাজারে নানা পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে উচ্চ শিক্ষিতদের এক চতুর্থাংশ তথা কমপক্ষে এক কোটি বেকার জনগোষ্ঠীর চাকরি পাওয়া কঠিন হবে।


নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে