সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড়ে ক্রমেই ভাঙছে পর্যটন সৈকত লাবনী ও সুগন্ধাসহ কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ি। অস্বাভাবিক জোয়ারের তাণ্ডবে ভাঙ্গন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের তাণ্ডবে ক্ষতবিক্ষত সৈকত হারাচ্ছে তার চিরচেনা সৌন্দর্য্য। ভাঙ্গনে ঝুঁকির মুখে রয়েছে সৈকতের ছাতা ও ঝিনুক মার্কেটও।

সাগরের জোয়ারের পানির তোড়ে তীব্র ভাঙনের এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার দুপুরে সৈকত পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার। এসময় তিনি বলেন, সাগরের ভাঙ্গনরোধে তাৎক্ষণিক বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। এখানে অনেক উঁচু বাঁধ দরকার। ইতোমধ্যে আমরা একনেকে ৩ হাজার ১৪০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প জমা দিয়েছি। নাজিরারটেক থেকে মেরিন ড্রাইভ পর্যন্ত স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ হবে। তখন হয়তো সাগরের ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে কক্সবাজার। এর আগে এদিন সকালে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সৈকতের কবিতা চত্বর, ডায়াবেটিক পয়েন্ট, লাবনী ও সুগন্ধা পর্যটন স্পট পরিদর্শন করেন। এসময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ, স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা কাশেম আলীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে কলাতলীর ডলফিন মোড় পর্যন্ত সৈকত এলাকায় বড় বড় ঢেউয়ের তোড়ে বিভিন্ন এলাকার বালু সরে গেছে। এতে ভাঙন দেখা দিয়েছে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে। এই ভাঙনে ক্ষতবিক্ষত হয়ে সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ভাঙ্গনের কবলে সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি, ঝাউগাছ। ঢেউয়ের তোড়ে এই ভাঙ্গন সৈকতের লাবনী পয়েন্টে জেলা প্রশাসন নির্মিত উন্মুক্ত মঞ্চ পর্যন্ত চলে এসেছে। কিছু কিছু জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি জিও টিউব দিয়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। ঢেউয়ের আঘাতে লাবণী পয়েন্টের বেশ কয়েকটি জিও ব্যাগ ছিঁড়ে গেছে। ওই এলাকার ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেস্কও নদীতে তলিয়ে যাওয়ার পথে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে