দেশে তীব্র দাবদাহের পর ঢাকা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। অসহ্য গরমের পর বহুল প্রত্যাশিত এই বৃষ্টি মানুষের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। ঋতুচক্রে বর্ষাকাল চললেও প্রকৃতি যেন কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত। তাপপ্রবাহ বৃষ্টির তৃষ্ণাকে আরো তীব্রতর করে তুলেছিল। মাঝে মাঝে স্বস্তির বৃষ্টি দেখা দিলেও কমেনি গরম। টানা গরমে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। অবশেষ শ্রাবণের ৫ম দিনে মুষলধারে বৃষ্টির দেখা পেল রাজধানীর মানুষ। আজ বুধবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশে রোদের পাশাপাশি ছিল ভ্যাপসা গরমও। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মেঘের আনাগোনা। বেলা সাড়ে ১১’টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। বেলা সাড়ে ১২টার দিতে বৃষ্টি কিছুটা কমে যায়। এতে পথচারীরা বিপাকে পড়লেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নেন রাজধানীবাসী।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। এ সময়ে ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ২ মিলিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা ৪৩টি বৃষ্টি পরিমাপক পয়েন্টের মধ্যে ৩৬টিতে বৃষ্টি হয়েছে। এ’দিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এছাড়া দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিকে, প্রচণ্ড গরমের পর চট্টগ্রামে রাত থেকে ভারী বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি এলেও বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ, চকবাজার, বহদ্দারহাটসহ বেশকিছু এলাকার রাস্তাঘাট হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে, সকালে চরম দুর্ভোগে পড়েন স্কুল-কলেজ ও অফিসগামী মানুষ। রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েন তারা। সামান্য বৃষ্টিতেই এমন জলজটের জন্য সিটি কর্পোরেশেনের উদাসীনতাকে দুষছেন সবাই।
এদিকে, আরো দুয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে, নদী কিংবা সমুদ্রবন্দরের জন্য কোন ধরনের সংকেত দেয়া হয়নি।