উত্তর-পূর্ব গ্রিসে বিধ্বস্ত ইউক্রেনীয় কার্গো বিমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবির জন্য সার্বিয়া থেকে কেনা মর্টার শেল আসছিল বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর, আইএসপিআর। রোববার আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিজিডিপি (ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ ডিফেন্স পারচেজ) ক্রয় চুক্তির আওতায় কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জন্য ক্রয়কৃত প্রশিক্ষণ মর্টার শেল আনা হচ্ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই চালানে কোনো অস্ত্র ছিল না এবং চালানটি বিমার আওতাভুক্ত। ওই বিমানে সার্বিয়ার তৈরি সাড়ে ১১ মেট্রিক টন সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে জানিয়েছিলেন গ্রীসের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নেবোসা স্টেফ্যানোভিচ।
রয়টার্স জানিয়েছে, ড্রোন দিয়ে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলের চারপাশে আন্তনভ-১২ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। উড়োজাহাজটিতে আটজন ক্রু ছিলেন। তারা সবাই ইউক্রেনের নাগরিক বলে জানা গেছে। গ্রিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটির পাইলট জরুরি কল করেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে গ্রিসের অ্যাথেন্স নিউজ অ্যাজেন্সি জানিয়েছেন, শনিবার রাতে আন্তোনোভ এন-১২ বিমানটি উড়ে যাওয়ার সময় আকাশে থাকা অবস্থায়ই সেটিতে আগুন ধরে যায় এবং তারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।
উড়োজাহাজটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে, তার আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা শনিবার রাতে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ রাখতে এবং দুর্ঘটনাস্থল এড়িয়ে চলতে বলা হয়। রোববার সকালে একজন ফায়ার ব্রিগেড কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণস্থলের উত্তাপে ফায়ার ফাইটারদের ঠোট-মুখ জ্বলে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। ঘটনাস্থল থেকে সাদা ধোঁয়া উড়ছিল।