দেশে চরমভাবাপন্ন আবাহওয়ায় চলছে খরা। সিলেট ও ময়মনসিংহ বাদে সারা দেশেই অনাবৃষ্টি থাকবে মধ্য এপ্রিলের পরও। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মার্চে স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টি কম হয়েছে ৮৬ ভাগ। তাই এপ্রিলে মাঝারি তাপদাহ থাকবে। আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে, অনবৃষ্টিতেই বজ্রপাতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে।

মার্চ মাসে প্রতিদিনের স্বাভাবিক গড় বৃষ্টির রেকর্ড ৪৯ মিলিমিটার। কিন্তু এবছর আবাহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৮৬ মিলিমিটার কম। এর পরপরই দিন দশকে বয়ে গেছে মাঝারি তাপপ্রবাহ।আবহাওয়া অফিস বলছে, এপ্রিলে খরতাপ আরও তীব্র হবে। সিলেট, রংপুর ও ময়মোনসিংহে কালবৈশাখীর প্রভাবে বৃষ্টি হলেও স্থায়ী হবে না। এতে করে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রামের আবাহওয়া থাকবে চরম ভাবাপন্ন। বষ্টি না হওয়ায় বয়ে যেতে পারে মৃদু ও মাঝারি তাপদাহ।

সিলেট অঞ্চলে কিছুটা বৃষ্টি হলেও দেশের বিরাট অঞ্চলে অনাবৃষ্টিতে কার্যত এখন খরা পরিস্থিতি। অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্লোবাল লাইটিংনিং ডিটেকশন নেটওয়ার্কের গবেষণা বলছে, এ পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে হিটওয়েভ বা তাপদাহ বয়ে যায়। অনাবৃষ্টির ফলে বোরো ধানের সেচেও দরকার হয় অতিরিক্ত পানি। এতেই সুনামগঞ্জসহ হাওরে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয়ে থাকে।এবছর হাওরঞ্চলে আগাম পাহাড়ি ঢল আসায় সেচের পানির চাপ কম। আর বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এ বছর থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগেই পূর্বাভাস দেবে আবহাওয়া অফিস।

তথ্যঃ ইন্ডিপেনডেন্ট নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে