নানা রকম ক্ষতিকারক উপাদান আর মাত্রাতিরিক্ত ধুলায় ভারী রাজধানীর বাতাস। দূষিত বাতাসের কারণে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরিকল্পিত ও ধীর গতির উন্নয়নের কারণেই এমন পরিস্থিতি। দিন দিন অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।ধুলার আড়ালে হারিয়ে গেছে সবুজ পাতা।  গাছ দেখে মনে হবে ধুলার স্তম্ভ। এমন চিত্র গোটা রাজধানী জুড়ে।

সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আইকিউএয়ার বায়ুমান সূচকের তথ্য বলছে, বায়ুদূষণে বাংলাদেশের অবস্থান ৪র্থ ।  এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারত আর তার পরপরই রয়েছে চীন।বায়ুসূচক বলছে, বাংলাদেশের চারটি দূষিত শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা ছুয়েছে অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে। মানিকগঞ্জের গড় পিএম ৮০ দশমিক ২, ঢাকায় ৭৭ দশমিক ১ এবং গাজীপুরের শ্রীপুরে ৫৫ দশমিক ৭ মাত্রায় পৌছেঁছে দূষণ। অতিরিক্ত ধুলিকণায় ভারী বাতাসে চরম দুর্ভোগে মানুষ।বায়ু দূষণের জন্য অপরিকল্পিত ও ধীর গতির উন্নয়ন কাজকেই দোষা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, প্রতি বছর বায়ু দুষণের কারণেই রোগাক্রান্ত হয়ে  প্রাণ হারাচ্ছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, অতিরিক্ত বায়ুদূষণের কারণে মানুষ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, নির্ধারণ করা মাত্রাতিরিক্ত দূষণ হয় এমন এলাকায় বিশ্বের ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষের বাস। সংস্থাটির তথ্য বলছে, কেবল বায়ুদূষণেই প্রতিবছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

তথ্যঃ ডিবিসি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে