শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজসেবা এবং ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ জন গুণী ব্যক্তির হাতে একুশে পদক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে একুশে পদক ও সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের গৌরবময় ইতিহাস ও কৃষ্টিকে কেউ যেন ভুলে না যায় সেজন্য তা সংরক্ষণ এবং মর্যাদা দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা জাতি, বাঙালি জাতি, আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি- আমাদের গৌরবের অনেক কিছু রয়েছে, সেই সব আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি-সেগুলি কেউ যেন ভুলে না যায় সেজন্য এর যথাযথ মর্যাদাও আমাদের দিতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য এগুলো প্রচার ও সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছরের একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন: ভাষা আন্দোলনে আ জা ম তকীয়ুল্লাহ (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম। সংগীতে শেখ সাদী খান, সুজেয় শ্যাম, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, খুরশীদ আলম ও মতিউল হক খান। নৃত্যে মীনু বিল্লাহ। অভিনয়ে হুমায়ুন ফরীদি (মরণোত্তর), নাটকে নিখিল সেন, চারুকলায় কালিদাস কর্মকার, আলোকচিত্রে গোলাম মুস্তাফা, সাংবাদিকতায় রণেশ মৈত্র, গবেষণায় ভাষাসৈনিক অধ্যাপক জুলেখা হক (মরণোত্তর), অর্থনীতিতে মইনুল ইসলাম, সমাজসেবায় ইলিয়াস কাঞ্চন। ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কবি হায়াত্ সাইফ, সুব্রত বড়ুয়া, রবিউল হুসাইন ও খালেকদাদ চৌধুরী (মরণোত্তর)।
পদক বিতরণ শেষে প্রধান অতিথির দেয়া ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি বলে আমরা একুশজনকে সম্মাননা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের দেশে এমন আরও অনেক গুণীজন রয়েছেন, যাদের আমরা পরবর্তীতে একুশে পদকে ভূষিত করব। ভাষণে পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।
ডেস্ক রিপোর্ট, বিডি টাইম্স নিউজ