মারাত্মক বায়ুদূষণের কবলে পড়েছে এশিয়ার বড় শহরগুলো। পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও চীনের তিনটি শহরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দিল্লিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস আদালত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ভারতের ২ কোটি মানুষের শহর দিল্লিতে প্রতি বছরের শীতে ক্ষতিকর ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে দিনে তিনবার সারা শহরে পানি ছিটানোর পরকিল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি দীপাবলি উৎসবে আতশবাজি পোড়ানোর পর দিল্লিতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়।দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ২১ নভেম্বর পর্যন্ত অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিল্লির আশপাশের ৫টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন স্থগিত রাখা হয়েছে। দিল্লিতে প্রয়োজন ছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
জরুরি ভিত্তিতে এই পদক্ষেপগুলো নেয়া হয়েছে। তবে শুধু এই পদক্ষেপের ওপরেই বায়ু দূষণ কমানো সম্ভব না। আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় যেতে হবে।দূষিত বায়ুর শহর হিসেবে পাকিস্তানের লাহোর তালিকার শীর্ষে বলে জানিয়েছে সুইডিশ এয়ার কোয়ালিটি মনিটর। বুধবার লাহোরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৩৪৮ অর্থাৎ বায়ুদূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে বেড়েছে। যার বিপজ্জনক প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর।
পাকিস্তানের লাহোরের এক বাসিন্দা বলেন, আগে আমরা সন্তানদের নিয়ে হাঁটতে বের হতাম। বিষাক্ত বাতাসের জন্য এখন বাদ দিয়েছি। ছোট শিল্প কারখানাগুলোকে হয় শহর থেকে সরানো উচিত নয়তো প্রযুক্তি আরো আধুনিক করা উচিত।চীনের বিভিন্ন শহর কুয়াশায় ঢেকে গেছে যার ফলে দৃষ্টিসীমা নেমে এসেছে ৫০ মিটারেরও কমে। শ্যাংডং প্রদেশে বুধবার অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
চীনের শ্যাংডং প্রদেশের এক বাসিন্দা জানান, কুয়াশা এতই ঘন যে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। ২০ মিনিটের পথ এখন ৪০ মিনিটে পাড়ি দিতে হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য ধীরে গাড়ি চালাচ্ছি।চীনের উত্তরাংশের হেবেই প্রদেশে জারি করা হয়েছে ইয়েলো অ্যালার্ট।
তথ্যঃ অনলাইন নিউজ ডেস্ক