আগামী বছরের জানুয়ারিতে দেশে ২ টি তীব্র শৈত্য প্রবাহ  বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এ ছাড়া নভেম্বরের শেষে তাপমাত্রা হ্রাস পাবার প্রবণতা রয়েছে; বাড়বে শীত। অন্যদিকে ডিসেম্বরের শেষের দিকে দেশের উত্তর,উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১ থেকে দুইটি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং মাঝারী (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বাসস’কে জানান, শীতকাল মূলত ডিসেম্বর মাসেই শুরু হবে। নভেম্বরের শেষে তাপমাত্রা কমার প্রবণতা হ্রাস পাবে। নভেম্বরে প্রকৃতিতে শীতের আমেজ আসতে শুরু করলেও শীত আসে ডিসেম্বরে। গত তিন দিন সারাদেশে বৃষ্টিপাতের কারণে আবহাওয়ায় একটা ঠান্ডা ভাব এসেছে। এটা শীতের পূর্বাভাস নয়। বৃষ্টি কমে গেলেই ক্রমশ তাপমাত্রা বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, নভেম্বর মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেলেও স্বাভাবিক থাকবে গড় তাপমাত্রা। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২ টি নি¤œচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১ টি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ মাসের শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল  ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের প্রধান নদ ও নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, ডিসেম্বর মাসে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেলেও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। এ ছাড়া ২ থেকে ৩ টি মৃদু( ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারী (৬-৮ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল,উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারী অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যস্থানে হালকা বা মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
তিনি বলেন, আবহাওয়ার উপাত্ত, উর্দ্ধাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়া মানচিত্র,জলবায়ু মডেল, ক্লাইমেট প্রেডিক্টটেবিলিটি টুল(সিপিটি), ইসিএমডব্লিউএফ, জেএমএ, এপিসিসি-কোরিয়া, আরআইএমইএস,আইআরআই, সি৩এস এবং বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা অনুমোদিত গ্লোবাল প্রডিউশিং সেন্টার(জিপিসিএস) থেকে পাওয়া এনডব্লিউ মডেলের পূর্বাভাস, এসওঅঅই (এল নিনো/ লা নিনা’র অবস্থা) ইত্যাদির যথাযথ বিশ্লেষণে এই আবহাওয়ার পরিস্থিতি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, রাতের তাপমাত্রা বা সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্য প্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বলে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে