পদ্মা, যমুনা ও ধরলাসহ বেশকিছু নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। উজানে ভারি বর্ষণ চলতে থাকায় দেশের বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার বিস্তার ঘটছে। আর এ অবস্থায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার।

অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় অন্তত ছয় জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক সপ্তাহ ধরে এসব এলাকায় পরিস্থিতির স্থিতিশীলতার মধ্যে ফের বাড়তে শুরু করে। ইতোমধ্যে কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, ফরিদপুরে নিম্নাঞ্চলে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ধরলার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার আর ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ফলে জেলার ৯ উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিতে বেশ কয়েকটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বৃদ্ধি পেয়েছে যমুনা নদীর পানি। এতে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি ৩ উপজেলার ২০ হাজার মানুষ।

রাজবাড়ীর অংশে পদ্মা নদীর পানি গত চার দিনে ১০ সেন্টিমিটার কমলেও এখনো বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি সাড়ে ৭ হাজার পরিবার। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি সংকট। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।তবে বন্যা পরিস্থির কিছুটা উন্নতি হয়েছে ফেনি, সিরাজগঞ্জ ও কুষ্টিয়াসহ বেশ কিছু জায়গায়।

তথ্যঃ ইন্ডিপেনডেন্ট

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে