দেশের বৃহৎ বন সুন্দরবনে প্রায় ৩০’ঘন্টা পরে পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকার আগুন নিভেছে। ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ, সিপিজি সদস্য ও স্থানীয়দের সম্মিলিত চেষ্টায় এবং বৃষ্টির পানিতে ওই এলাকার সম্পূর্ণ আগুন নেভানো সম্ভব হয়। মঙ্গলবার(৪’ঠা মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় আগুন নেভানোর অভিযান সমাপ্ত করেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দুপুরের দিকে দাসের ভারানি এলাকার আগুন লাগে। প্রায় ৩০’ঘন্টার এই অগ্নিকাণ্ডে বনের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, জানাতে পারেনি বন বিভাগ। ফায়ার সার্ভিস বলছে আগুনে অন্তত তিন একর বনভূমি পুড়ে গেছে। তবে পুড়ে যাওয়া বনভূমির পরিমান আরও বেশি বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা। এর আগে ৮’ই ফেব্র“য়ারি সুন্দরবনের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্চের ধানসাগর স্টেশনের টহল ফাড়ি এলাকায় অগ্নিকান্ডে ৩’শতাংশ বনভূমি পুড়ে যায়। এই নিয়ে গেল ২০’বছরে সুন্দরবনে ২৫’বার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সুন্দরবনে একের পর এক আগুন লাগার ঘটনায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীরা।
স্থানীয়রা বলেন, সোমবার আগুনের ধোঁয়া দেখেই তারা বন বিভাগকে খবর দেয়। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের সাথে নিয়ে বনের মধ্যে প্রবেশ করে। তবে লোকালয় থেকে অনেক দূরে গহীন বনে অগ্নিকান্ড সংগঠিত হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়। শেষ পর্যন্ত দুই দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ (মঙ্গলবার) সুন্দরবনের আগুন নেভানো সম্ভব হয়। স্থানীয়দের ধারণা, আগুনে সুন্দরবনের অন্তত ৫ একর বনভূমি পুড়ে গেছে।
বন বিভাগের সহায়তাকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ (সিপিজি)’র সদস্য মো. ফিরোজ ও সগির হোসেন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে তাদের সদস্যরা বন বিভাগের সাথে গাছের ডাল কেটে, ফায়ার সার্ভিসের মালামাল বহন করে এবং ফায়ার বেজ কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে।
বাগেরহাটের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, সকলের প্রচেষ্টায় দাসের ভারানি এলাকার আগুন নেভানো গেছে। এখন আর কোথাও আগুন নেই। তবে ওই জায়গাটিতে শুকনো পাতার অনেক পুরু স্তুপ রয়েছে। যার ফলে কোথাও সুপ্ত আগুন থাকতে পারে। যেহেতু দৃশ্যমান কোন আগুন নেই, তাই অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে গোলাম সরোয়ার আরও বলেন, আগুনে দাসের ভারানি এলাকার অন্তত তিন একর বনভূমি পুড়ে গেছে। ছোট গাছ, লতাপাতাসহ বেশকিছু বড় গাছ পুড়ে গেছে।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ