বিগত ২৫’বছরে অ্যান্টার্কটিকায় ৪’হাজার গিগাটন বা ৪ ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন বরফ গলেছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন গবেষকেরা। নাসার অর্থায়নে স্যাটেলাইটের তথ্য পর্যালোচনা কোরে এতথ্য দিয়েছেন তারা। সম্প্রতি গবেষণাটি প্রকাশ হয়েছে ন্যাচার জিওসায়েন্স জার্নালে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। পৃথিবীর অন্যান্য এলাকার মতো যার প্রভাব পড়েছে অ্যান্টার্কটিকায়। বরফ গলায় সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতাও বাড়বে আশঙ্কা গবেষকদের। অ্যান্টার্কটিকায় কী পরিমাণে বরফ কমেছে তা জানতে ২৫ বছর ধরে স্যাটেলাইটের তথ্য নিয়ে গবেষণা চালান ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া স্যান দিয়াগোর গবেষকেরা।
গবেষক দলের সদস্য সুশীল আদুসুমিলি জানান, সমুদ্রের পরিবর্তন বোঝা সহজ, কারণ সেখানে আপনি জাহাজ নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু অ্যান্টার্কটিকায় সমুদ্র, কয়েক হাজার বরফের নীচে থাকায় তা জানতে স্যাটেলাইটের সাহায্য দরকার। ২৫ বছরের তথ্য গবেষণা করে দেখা গেছে ৪ হাজার গিগাটন বরফ গলেছে। গবেষণার জন্য স্যাটেলাইট ক্রায়ো/স্যাট-টু আর ইউরোপিয়ান স্পেস সংস্থার রাডার স্যাটেলাইটের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। গবেষকদের দাবি, যে পরিমাণ বরফ গলেছে তা আরিজোনার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ভরার জন্য যথেষ্ট।
সুশীল আদুসুমিলি আরো জানান, আমরা রাডার অ্যাল্টিমিটার ব্যবহার করেছি। তা স্যাটেলাইট থেকে নেমে পৃথিবীর ভূপৃষ্টে ৪শ মাইল ওপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করে। যন্ত্রটি বরফের খণ্ডের সঙ্গে আঘাত কোরে ফিরে যায়। যদি বেশি সময় লাগলে বুঝতে হবে বরফের স্তর নীচে নেমে এসেছে। আর কম সময় লাগলে, স্তর বেড়েছে। পৃথিবীর দক্ষিণে অবস্থিত অ্যান্টার্কটিকা পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ। আয়তন এক কোটি ৪০ লাখ বর্গ কিলোমিটার হলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে সেখানে নেই মানুষের বসবাস।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ