কোরবানির ঈদের আগে এবার ভিন্ন চিত্র রাজধানির মৌলভিবাজারে। দেশের গরম মসলার বৃহত্তম পাইকারি এ আড়তে বেচাকেনা খুবই কম। পাশাপাশি চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি থাকায় কোন কোন মসলার দাম বাড়ার বদলে, কমেছে।
কোরবানির ঈদ মানে গবাদি পশু জবাই। তারপর রান্না করে খাওয়া। আর মাংস রান্নায় গরম মসলার বিকল্প নেই। তাইতো প্রতিবছরই কোরবানির ঈদ এলেই বাড়ে গরম মসলার দাম। কিন্তু এবার পরিস্থিতি খানিকটা ভিন্ন। এমনিতেই করোনা সংকটে অচল অর্থনীতি, পাশাপাশি সম্প্রতি মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে বন্যা। কেনা বেচা অর্ধেকে নামার পাশাপাশি অধিকাংশ মসলার দামই আগের চাইতে কম।
ব্যবসায়ীরা জানায়, বন্যা, আর করোনার কারণে এবার ব্যবসা মন্দা যাচেছ। কেউ জানায়, মসলার বিক্রি নির্ভর করে কুরাবানীর ঈদ এবং অনুষ্ঠানের উপর, কয়েক মাস ধরে কোন অনুষ্ঠান না হওয়ায় মসলার প্রত্যেকটা উপকরণের দাম কম।
ব্যবসায়ীরা আরও জানায়, লকডাউনের আগে জিরার দাম ৪৫০ টাকা থাকলেও বর্তমানে জিরার দাম ২৫০ টাকা, এলাচীর দাম ৪ হাজার টাকা থেকে নেমে ৩ হাজার ৪ শত টাকা, আড়াই হাজার টাকা এমনকি ১৮ শত টাকায়ও বিক্রি করছেন তারা। গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতি বলছে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি, ফলে আড়তে দাম কম। খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়ার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই।
মৌলভিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ জানায়, বাজারে প্রচুর পরিমাণে মসলা আছে। রোজার ঈদের মসলার বিক্রি এখনো শেষ হয় নাই। তিনি আশা করছেন, রোজার ঈদের মসলা কুরবানীর ঈদেও বিক্রি করে শেষ করা যাবে না, এমন কি বিক্রি করে শেষ হতে আরও ২ থেকে ৩ মাস লাগতে পারে। মসলা প্রচুর থাকলেও ক্রেতার অভাবে বিক্রি হচেছ না। আমদানিকারকদের অনেকেই ব্যাংক ঋণ নিয়ে মসলা আমদানি করেন। বেচাকেনা কম হওয়ায় অনেকের ঋণের টাকাও আটকে যাচ্ছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ