সাবমেরিন যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে দেশের ভেতরে বাইরের কেউ যেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে, সেদিক লক্ষ্য রেখেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুপুরে চট্টগ্রামের ঈশাখাঁ নৌঘাঁটিতে নবযাত্রা ও জয়যাত্রা নামের সাবমেরিন দুটির কমিশনিং করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। তবে কেউ আক্রমণ করলে তার সমুচিত জবাব দিতে সবসময় প্রস্তুতি থাকবে।
২০১৪ সালে নৌবাহিনীতে চীনের জিরো থ্রি ফাইভ টাইপ দুটি ডিজেল ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন যুক্ত করতে চুক্তি করে সরকার। এক হাজার ৫৬৯ কোটি টাকায় কেনা সাবমেরিন দুটি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয় গত নভেম্বরে। সি ট্রায়াল শেষে ডিসেম্বরে আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। ৭৬ মিটার দৈর্ঘ্য ও প্রায় সাড়ে সাত মিটার প্রস্থের সাবমেরিন দুটির নাম নবযাত্রা ও জয়যাত্রা। টর্পেডো ও মাইন সজ্জিত সাবমেরিন দুটি শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজের পাশপাশি হামলা চালাতে সক্ষম ডুবো জাহাজেও। এর গতিবেগ সামনে ১২ ও পেছন দিকে ১১ নটিক্যাল মাইল। ডিসপ্লেসমেন্ট এক হাজার ৬০৯ টন।
ঈশাখাঁ নৌঘাঁটিতে কমিশনিং ফরমান তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা নেয়া বাংলাদেশ বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। তারপরও হুমকি এলে তার জবাব দেয়া হবে। সাবমেরিন দুটি আপাতত থাকছে চট্টগ্রাম নৌঘাঁটিতে। পরে মহেশখালী ও পটুয়াখালীতে তৈরি হবে সাবমেরিন স্টেশন।নবযাত্রা ও জয়যাত্রা সমুদ্রে অর্থনৈতিক কাজে সহায়ক হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ