শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়, কলকাতা|| প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক বৃহস্পতিবার দুপুরে টালিগঞ্জের নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৮৯ বছর। নিমাই ভট্টাচার্য বেশ কয়েক বছর ধরে জেরিয়ট্রিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

নিমাই ভট্টাচার্য যশোর জেলার মাগুরা মহকুমার (এখন জেলা) শালিখা থানার অন্তর্গত শার্শুনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি তিন বছর বয়সে মাতৃহীন হন। তাঁর বাবার নাম সুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। ১৯৪৮ সালে তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে হাই স্কুল পাস করার পরে। তিনি স্নাতক হন। নিমাই ভট্টাচার্য দীপ্ত ভট্টাচার্যকে বিয়ে করেছিলেন।

নিমাই ভট্টাচার্য সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে তাঁর জীবন শুরু করেছিলেন। তিনি বহু মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি সাহিত্য কার্যক্রম শুরু করেন। শীঘ্রই তিনি লেখক হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন, তখন তিনি সাংবাদিক ছিলেন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দিল্লিতে রাজনৈতিক-কূটনৈতিক-সংসদীয় সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছেন। এই খবরটি কভার করতে তিনি বহু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তাঁর রচিত একটি উপন্যাস ১৯৭৩’সালে প্রথম কলকাতার সাপ্তাহিক ‘অমৃতবাজার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল এবং ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে, তাঁর চারটি উপন্যাস একই জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।

তাঁর জনপ্রিয় উপন্যাস মেমসাহেব ১৯৮২ সালে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন। উত্তম কুমার কেন্দ্রীয়িয়া বাচ্চুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। অপর্ণা সেন মেমসাহেবের চরিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। পরে তাঁর আরও অনেক উপন্যাস চিত্রায়িত হয়েছিল। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসগুলিতে পিয়াসা, বিবাহ নিবন্ধক, কূটনীতিক, অস্তাদশী, নাচনি, ইমান কল্যাণ, স্নাতক ইত্যাদি: নিমাই দেড় শতাধিক বই প্রকাশ করেছেন

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতীয় প্রকাশনা সংস্থা দেজ প্রকাশনা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিমাই ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রকাশনা সংস্থা জানিয়েছে যে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য তাঁর সাহিত্য পাঠকদের জন্য রেখে গেছেন।

কলকাতা নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে