বঙ্গোপসাগরে একের পর এক মৌসুমি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্বে শক্তিশালী ৩৬টি ঘূর্ণিঝড়ের ২৬টিই বঙ্গোপসাগরের। এর মধ্যে আমফানসহ গত সাত বছরে হয়েছে সাতটি। যার পাঁচটিই মে মাসে। বাকি দুটির একটি জুলাই ও অপরটি ডিসেম্বরে আঘাত হানে। আবহাওয়াবিদ ও গবেষকেরা জানায়, গ্রীষ্ম মৌসুমে বদ্বীপ মোহনার বিশাল জলরাশির তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়ায় উত্তাল হচ্ছে সাগর।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই গত কয়েক বছরে বেড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যাও। ১৮৫ কিলোমিটার গতিবেগের ঘূর্ণিঝড় ফনী গত বছর এপ্রিলের শেষে নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছিল মধ্য বঙ্গোপসাগরে। পরে ৩ মে ফনী আঘাত হানে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চলে। একই বছর ডিসেম্বরে আসে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার।

২০১৮ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি ওডিশার গোপালপুর, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে আঘাত হানে। ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিবেগের তিতলির থাবায় প্রাণ হারান প্রায় ৮৫ জন।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে ২০১৭ সালের ৩০শে মে। ২০১৬ সালের ২১শে মে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে ৪-৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’তে। ২০১৫ সালের ৩০শে জুলাই ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’-এর আঘাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে হয়েছিল ৫-৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস। এর আগে ২০১৩ সালের ১৬ই মে নোয়াখালী-চট্টগ্রাম উপকূলে ‘মহাসেন’-এর থাবায়ও হয়েছিল জলোচ্ছ্বাস। আর ঘূর্ণিঝড় আমফানও মে মাসেই। এ নিয়ে গত সাত বছরে মে মাসেই ঘূর্ণিঝড় হয়েছে পাঁচটি।

ওয়েদার আন্ডারগ্রাউন্ড‌ এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৩৫টি শক্তিশালী মৌসুমী ঘূর্ণিঝড়ের ২৬টিরই সৃষ্টি বঙ্গোপসাগরে। পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, সাগরে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। তাই ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

গবেষকরা জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণের কারণে বাড়ছে সাগরের তাপমাত্রা। তাই সাগরকে দূষণমুক্ত রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে