যত্ন ও পরিচর্চা না থাকা এবং গাড়ির ফিটনেস ও রাস্তায় গাড়ি চালানোর নিয়মের বিষয়ে যথাযথ তদারকি না থাকা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া সময়মতো সিলিন্ডার পরীক্ষা না করা এবং স্থাপনের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান তারা। দুর্ঘটনারোধে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আইন ভঙ্গকারী চালকদের শাস্তির আওতায় আনারও পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
দুর্ঘটনায় নিহতের স্বজনদের এ কান্না এখন দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রতিদিনকার চিত্রে পরিণত হয়েছে। কোনো কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না সড়ক-মহাসড়কের দুর্ঘটনা। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের মতে, সড়কের সক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও ওভারটেকের মনোভাবের কারণেই বন্ধ হচ্ছে না সড়কে অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর ঘটনা।আর বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যানের মতে, গাড়ির ফিটনেস ও রাস্তায় গাড়ি চালানোর নিয়মের বিষয়ে যথাযথ মনিটরিং না থাকা এসব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। বিভিন্ন গবেষনাকারী সংস্থার মতে, প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ। যার আর্থিক মূল্য প্রায় আট হাজার কোটি টাকা। তাই দুর্ঘটনারোধে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আইন ভঙ্গকারী চালকদের শাস্তির আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
পাশাপাশি সিলিন্ডার ব্যবহারসহ গাড়ির ফিটনেসের দিকে বিআরটিএ’কে আরো সজাগ দৃষ্টি রাখারও তাগিদ দিয়েছেন তারা। মহাসড়কের পাশে যত্রযত্র বাজার উচ্ছেদ ও রাস্তা পারাপার বন্ধে সরকারকে আরো কঠোর হবারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ।