পুঁজিবাজারে কমছে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাবের সংখ্যা। সিডিবিএলের তথ্যমতে, এক বছরের ব্যবধানে প্রায় আড়াই লাখ বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজার ছেড়েছেন। বাজারের চলমান মন্দায়, আস্থার সংকটে বিও হিসাব কমছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সংকট উত্তরণে, প্রধানমন্ত্রীর ছয় নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ তাদের।
গত বছর বেশিরভাগ সময় মন্দার মধ্যে পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। এ বছরও প্রায় দিনই বাজারে বড় দরপতন হয়েছে। দরপতনের ধাক্কায় এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ কোটি টাকা।এ অবস্থায় পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন অনেক বিনিয়োগকারী। এতে বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাব খোলার প্রবণতাও কমেছে।২০১৯ সালের জানুয়ারিতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী ছিল ২৮ লাখ ৯ হাজার। আর চলতি মাসে এটি কমে দাঁড়ায় ২৫ লাখ ৬৫ হাজারে। একই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারী কমেছে ১৮ হাজার জন। বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার।বিও হিসাব কমার পেছনে বাজারের মন্দা অবস্থাকেই দায়ী করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, মন্দার কারণে মুনাফা না পাওয়ায় বাজার থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বিনিয়োগকারী।বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে তারল্য সঙ্কট দূর করার পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিতের তাগিদ বিশ্লেষকদের।
পুঁজিবাজারের সংকট উত্তরণে সম্প্রতি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থাসহ ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব নির্দেশনা বাজার সংশ্লিষ্টদের গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ