প্রথমবারের মতো ঢাকায় শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৭। বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমিতে তিনদিনের এ উৎসব উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী। সীমান্তের দুই পাড়ের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন দৃঢ় করাই লক্ষ্য, বলছেন আয়োজকেরা।
বাংলার উর্বর মাঠে কৃষকের ফসল তোলার আনন্দ, মাঝির নৌকা বেয়ে যাওয়া, জেলের মাছ ধরা সবই আবহমান বাংলার রুপ। নৃত্যের ছন্দে সেই চিত্রই তুলে ধরেন দেশের শিল্পীরা। উৎসবের প্রথম দিন ছিল ত্রিপুরার শিল্পীদের পরিবেশনাও। গানে নৃত্যে তারাও তুলে ধরে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
তিনদিনের এ উৎসবে অংশ নিতে ত্রিপুরা থেকে ৬০ সদস্যের দল এসেছে ঢাকায়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথমবার এই আয়োজন। শুধু সংস্কৃতির আদান প্রদান নয়, দুই দেশের জনগণের মেলবন্ধন এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য। সাংস্কৃতিক আয়োজনের পাশাপাশি ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের শিল্পীদের চিত্রপ্রদর্শনীও ছিলো অন্যতম আকর্ষণ।
২১ জানুয়ারি পর্যন্ত চিত্রশালা, জাতীয় নাট্যশালায় চলবে এই আয়োজন। পরবর্তী আয়োজন ভারতের ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।