সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সভায় অংশগ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইজারল্যান্ডে তার পাঁচ দিনের সফর শেষে আজ সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে জুরিখ ত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারি এমিরেট্স এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে দুবাই’র উদ্দেশ্যে জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে। দুবাইতে চার ঘন্টা যাত্রা বিরতির পর ভোর ৪টায় প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহ্সান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারি ফ্লাইটটি আগামীকাল সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) নিবার্হী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস সোয়ানের আমন্ত্রণে ফোরামের ৪৭তম বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ১৬ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেন। ১৭ থেকে ২০ জানুয়ারি পযর্ন্ত দাভোসে ডব্লিউইএফ-এর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘সহানুভুতিশীল ও দায়িত্ববান নেতৃত্ব’।

শেখ হাসিনাই প্রথম বাংলাদেশী নেতা যিনি এ ধরনের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন, যেখানে রাষ্ট্রনায়ক, শীর্ষ ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ এবং বুদ্ধিজীবীরা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ডব্লিউইএফ সম্মেলনে যোগ দেয়ার পাশাপাশি ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি ফোরামের নির্ধারিত অনুষ্ঠানমালায় পাশাপাশি বিভিন্ন বৈঠকে যোগ দেন।
প্রতি বছর জানুয়ারিতে দাভোসে ডব্লিউইএফ-এর বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় তিন হাজার শীর্ষ ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ, আর্ন্তজাতিক রাজনৈতিক নেতা, শীর্ষ পযার্য়ের বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকবৃন্দ যোগ দেন। সম্মেলনে বিশ্বের সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ বছরের সম্মেলনে ২০১৭ সালের পাচঁটি গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ আলোচনায় অধিক গুরুত্ব পায়। এগুলো হচ্ছে, আর্ন্তজাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, পরিচিতি বিনিময়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পুঁজিবাদ সংস্কার এবং ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ’।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে