ইংল্যান্ডের মতো ক্রিকেটের পরশক্তির বিপক্ষে লড়ার আগে আফগানিস্তান সিরিজ প্রস্তুতির বড় মঞ্চ। এমনটাই মনে করেন দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি আরো জানিয়েছেন, সম্প্রতি ইংল্যান্ড দারুণ ক্রিকেট খেললেও দেশের মাটিতে বাংলাদেশই ফেভারিট।
সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জমজমাট এক ঘরোয়া সিরিজের অপেক্ষায় টিম বাংলাদেশ। দীর্ঘ বিরতির পর আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে মাশরাফি সাকিবরা। এর আগে আফগানরা সফর করবে বাংলাদেশ। ইংলিশদের বিপক্ষে লড়ার আগে যা হবে প্রস্তুতির বড় এক মঞ্চ।
সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আফগানিস্তান যেহেতু আসবে সেহেতু এটা আমাদের প্রস্তুতির একট বড় সুযোগ। আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিনি। তাই আমার মনে হয় আফগানিস্তান দিয়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের ভাল একটি প্রস্তুতি হয়ে যাবে। আশা করি ভাল দুইটা সিরিজ হবে আমাদের।’
বিসিবি সভাপতির মুখ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন ঘোষণা না এলেও একথা মোটামুটিভাবে নিশ্চিত যে বাংলাদেশের বোলিং কোচ হচ্ছেন কোর্টনি ওয়ালস আর স্বল্পমেয়াদে বাংলাদেশের ব্যাটিং উপদেষ্টা হচ্ছেন শ্রীলঙ্কার থিলান সামারাবিরা। দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের বিশ্বাস, তাদের অভিজ্ঞতা আরো এগিয়ে নেবে দেশের ক্রিকেটকে।
সাকিব আরও বলেন, ‘দুইজনই লিজেন্ড ক্রিকেটার। ওদের কাছ থেকে বোলিংয়ের বেসিক কি শিখবে না শিখবে জানি না তবে ওরা যে অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করবে আমার কাছে ওটাই বড় ব্যাপার।’
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। ওডিআই ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৪৪ রানের রেকর্ড গড়েছে অ্যালেক্স হেইলস-মরগানরা। প্রতিপক্ষ শক্ত হলেও হোম কন্ডিশনে বাংলাদেশই সেরা বলে জানিয়েছেন সাকিব।
সাকিব বলেন, ‘ওদের কন্ডিশনে ওরা সব সময়ই অনেক ভাল দল। আমরাও আমাদের কন্ডিশনে শেষ দেড় দুই বছর ভাল করছি। আমার কাছে মনে হয় বেশ ভাল একটা সিরিজ হবে। আমি বিশ্বাস করি টেস্ট ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই আমাদের জেতার সামর্থ আছে। আমরা আমাদের সামর্থ অনুযায়ী খেলতে পারলে আমার মনে হয় আমরা ভাল করবো।’
সাম্প্রতিক সময়ে পেসাররা বোলিংয়ে টিম বাংলাদেশের মূল শক্তি হলেও, সবসময়ই স্পিনাররাই ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের জয়ে। এবারও স্পিনাররাই কাঁপন ধরাবেন ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে এমনটাই বিশ্বাস সাকিবের।