ঢাকার রাজাবাজার এলাকায় মধ্যরাতে পুলিশ কমপক্ষে ১১টি ছাত্র মেসে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। পুলিশ বলেছে, এসব মেসে মূলত বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা থাকে। জঙ্গি তৎপরতায় তাদের কেউ জড়িত কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বলে পুলিশ বলছে।
শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোপাল গণেশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, রাজাবাজার এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা থেকে দুইটা পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় ধরে পুলিশ ১১টি ভবনে তল্লাশি চালিয়েছে। ভবনগুলো ছয় সাত তলা করে হবে। প্রতিটি ভবনকে একটি করে মেস হিসেবে পুলিশ চিহ্নিত করেছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল,ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তির জন্য কোচিং সেন্টারে যাচ্ছে, এমন ছাত্রের সংখ্যাই এই মেসগুলোতে বেশি। এছাড়া বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীও রয়েছে। তল্লাশিতে আপত্তিকর কিছু পুলিশ পায়নি এবং কাউকে আটক করা হয়নি।
ঐ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন,মেসগুলোতে বসবাসকারী ছাত্রদের পরিচয়পত্র এবং তথ্যাদি পুলিশ যাচাই করে দেখেছে। কয়েকজনের পরিচয়পত্র বা তথ্যাদির প্রমাণ না থাকায় মোবাইলে তাদের বাবা মা’র সাথে কথা বলে পুলিশ তাদের সন্দেহ দূর করেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, মেসগুলোতে তাদের এমন আকস্মিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। দু’দিন আগে ঢাকার কল্যাণপুরে বহুতল ভবনের মেসে পুলিশি অভিযানে সন্দেহভাজন নয়জন জঙ্গি নিহত হয়। সেই প্রেক্ষাপটে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি বিরোধী ব্লক রেইড বা অভিযানের পাশাপাশি এখন মেসেও তল্লাশি অব্যাহত রাখার কথা পুলিশ বলছে।