ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নিবিড় সম্পর্কের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের প্রত্যাশা দিল্লি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না যাতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। আর ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী বলেছেন, একাত্তরে ভারত যেভাবে পাশে ছিলো ভবিষ্যতেও সেভাবেই থাকবে, ঢাকা-দিল্লির যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে তা চিরকালীন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। ভুটানের পর, ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে দিল্লি। দিনটি উপলক্ষ্যে জাতীয় জাদুঘরে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
এসময় নির্মূল কমিটির সভাপতি বলেন, ভারতের সঙ্গে কিছু অমীমাংসিত সমস্যা থাকলেও মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অস্বীকার করার নয়।নিজ বক্তব্যে ভারতের হাই কমিশনার জানান, একাত্তরে ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটা চিরকালীন, সময়ের পরীক্ষায় সেটি সবসময় উত্তীর্ণ হবে।
বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী বলেন, অপারেশন সার্চলাইট, রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধ করা, একটা প্রজন্মের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা-এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে, কিংবা আরেকবার ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ যেন লেখা না হয়।একটা উদার নৈতিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ কাজ করছে বা করে চলেছে, ভারত তাদের পাশে আছে।
একাত্তরে ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরেন পরারাষ্ট্রমন্ত্রীও। বলেন, বন্ধুত্বের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ ও ভারত এগিয়ে যাবে। দিল্লি সব সময় বাংলাদেশের মানুষের দিকে দৃষ্টি রেখেই সিদ্ধান্ত নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা আশাবাদী, এই সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে নিবিড় থেকে নিবিড়তর হবে। সেই সাথে আমাদের দেশের জনগণের প্রত্যাশা যে বন্ধুপ্রতীম ভারত এমন কিছু করবে না যাতে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
পরে মুজিববর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ঢাকা আসার কথা রয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সূত্র- ইন্ডিপেনডেন্ট