বীমা সম্পর্কে সব মানুষকে সচেতন করতে তিন দিনব্যাপী ‘বীমামেলা ২০১৬’ আয়োজন করেছে আইডিআরএ। আগামীকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আগামী ২৫ মার্চ শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত মেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য বীমা’। এতে ১ হাজারের বেশি গ্রাহকদের বীমা দাবি পরিশোধ করা হবে। গতকাল বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) মিলনায়তনের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বীমা হচ্ছে মানুষের দুর্দিনের বন্ধু। মানুষের কল্যাণেই এই বীমা। এ খাত সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে মেলায় দশনার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে বীমা বিষয়ক সেমিনার। থাকছে বীমা খাতের চাকরি সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের সুযোগ। পাশপাশি দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ পুরুস্কার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংবাদ সংম্মেলনে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান শেফাক আহমেদ, অর্থ মন্ত্রণালয় বিএফআইডি যুগ্মসচিব মো. শফিকুল ইসলাম, আইডিআরএ সদস্য সুলতান উল আবেদন, জুবের আহমেদ খান, মো. মুরশিদ আলম, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমির পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) আহমেদুর রহিমসহ বীমামেলা আয়োজক কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শেফাক আহমদে বলেন, ‘বীমা একটি নিরস জিনিস। এ জন্য বীমার প্রচার ও প্রসার ঘটাতে প্রথমবারের মতো বীমামেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা এ মেলার আয়োজন করা হলেও পরবর্তীতে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে বীমামেলা করা হবে।’ এ মেলায় প্রতিদিনই থাকবে র‌্যাফেল ড্র। যারা মেলায় প্রবেশ করবেন প্রত্যেকে বিনামূল্যে একটি করে কুপন পাবেন। এরপর বিকেল ৫টায় র‌্যাফেল ড্রর মাধ্যমে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হবে। মেলায় প্রতিদিন বীমা গ্রাহকদের বীমা দাবির চেক দেয়া হবে। তিন দিনের ১ হাজারের ওপর গ্রাহক বীমা দাবির চেক পাবেন। প্রথম দিন সব থেকে বেশি গ্রাহক বীমা দাবির চেক পাবেন। এদিন অর্থমন্ত্রী নিজ হাতেও কয়েকজন গ্রাহককে দাবির চেক তুলে দেবেন। এছাড়া মেলায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দিনের সেমিনারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং তৃতীয় দিনের সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
আইডিআরএ সদস্য কুদ্দুস খান বলেন, ‘জাতীয় বীমা নীতিতে বীমামেলা আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। সে জন্যই বীমা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে আমরা বীমামেলার আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে বীমা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভুল ধারণা দূর হবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে