হাইকোর্টের নির্দেশনা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে মানহীন ওষুধ। এতে অসচেতনতায় ক্ষতির মধ্যে পড়ছে মানুষ। ফলে স্বাস্থ্য সেবা চরমভাবে হুমকির মুখে পড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। নিয়মিত মনিটরিং এর পাশাপাশি সহসাই মানহীন ওষুধের বিক্রি বন্ধ করা হবে বলে আশ্বাস অধিদপ্তরের। হাইকোর্ট ও ঔষধ প্রসাধন অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞার পরেও ৩৫টি কোম্পানির মানহীন ঔষধ প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন ফার্মেসিতে। এতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে বলে মত চিকিৎসাবিদদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্ত বিভাগে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক কোম্পানি মান সম্মত ঔষধ তৈরি করতে সক্ষম না। বাজারে ভেজাল ঔষধ থাকবে জিরো পার্সেন্ট। কারণ যত সামান্য হোক না কেন একটু হলেও খাচ্ছে আমাদের দেশের গরীব, ধনী সব মানুষ।’ দেশে প্রতিবছর বিক্রি হয় ১৭ হাজার কোটি টাকার ঔষধ যার ৭ থেকে ৮ ভাগিই মানহীন। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঔষধ প্রশাসনের জনবলের অভাব, সক্ষমতার অভাবের পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ না থাকায় পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না মানহীন ঔষধের উৎপাদন ও বিপণন প্রক্রিয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্ত বিভাগে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ‘মনিটরিং এর ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। আর যতটুকু আছে তা দিয়ে যদি ঠিক মতো মনিটরিং করা যায় তাহলে আরো ভাল হতো।’ তবে বাজার থেকে মানহীন ঔষধের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলে দাবি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। বাজারে মানহীন ঔষধের ব্যাপকতা রোধে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট তৈরির দিকে সরকারকে মনোযোগী হবার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।