আলোচিত হত্যাকাণ্ড এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যার অন্যতম আসামী রাশেদ ও নবী নামের এই দুই অভিযুক্ত পুলিশের হাতে আটক ছিল। চট্টগ্রামের গোয়েন্দা পুলিশ বা ডিবি তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল।রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলছেন, মঙ্গলবার ডিবির একটি দল এই দুজনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার ও অন্য আসামীদের ধরতে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের ঠাণ্ডাছড়ি নামে একটি এলাকায় গেলে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয় এবং এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই অভিযুক্ত নিহত হয়।
অবশ্য পুলিশের এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ গল্প নিয়ে বাংলাদেশে বড় ধরণের প্রশ্ন রয়েছে।অনেক মানবাধিকার কর্মীই কথিত এই বন্দুকযুদ্ধকে ঠাণ্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড বলে বর্ণনা করে থাকেন ঠিক এক মাস আগে, গত ৫ই জুন চট্টগ্রামে পুলিশের এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে প্রকাশ্য দিবালোকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে আততায়ীরা। প্রথমে এই হত্যাকাণ্ডকে জঙ্গি হামলা বলে বর্ণনা করা হলেও পরে হত্যার মোটিভ নিয়ে নানা রহস্য তৈরি হয়।এমনকি মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকেও পুলিশ দীর্ঘ সময় ধরে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করেছিল, যা এই রহস্যকে আরো ঘনীভূত করে।
পুলিশের হাতে এই মামলার আরো কয়েকজন অভিযুক্ত আটক রয়েছেন, যাদের মধ্যে ওয়াসিম নামে ভাড়াটে খুনি এবং তার সহযোগী ওয়াসিম জবানবন্দী দিয়ে অপরাধ স্বীকার করেছে বলে পুলিশ দাবি করছে। এছাড়া ভোলা নামে আরো এক ব্যক্তিও পুলিশের হাতে আটক রয়েছে।