ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’- হ্যাঁ, জনপ্রিয় এই গানের কলি যেন সত্যিই রূপ ধারণ করেছে মধু বিক্রেতার এই মধুভর্তি বোতলে।যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স। সারা দেশে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযানে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

অথচ সীমান্তবর্তী আখাউড়ায় কুড়িয়ে পাওয়া বিভিন্ন ব্রান্ডের মদের নোংরা বোতলে এক শ্রেণির অসাধু ভেজাল মধু বিক্রেতা মধুতে চিনির সিরা মিশিয়ে ভেজাল মধু তৈরি করে বিক্রি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। আর বিশ্বাস করে মধু কিনে ভেজালের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ভোক্তারা।যদিও হেকিমি শাস্ত্রমতে, সর্বরোগের সেরা দাওয়াই হল মধু। আর এক ফোঁটা খাঁটি মধু পেতে ক্রেতারা টাকার কৃপণতা করতে চান না। কিন্তু খাঁটি মধু এখন কতটা খাঁটি তা বিক্রেতার মধুভর্তি বোতলই প্রমাণ পাওয়া যায়।

সোমবার দুপুরে আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের মদের নোংরা বোতলে মধু ভর্তি করে বিক্রি করছিলেন খাগড়াছড়ির রাঙাপুর এলাকার মিয়াং মংয়ের ছেলে বয় মং।এ সময় মদের বোতলে ভেজাল মধু বিক্রয়ের অভিনব প্রতারণার কৌশল বুঝতে পেরে উৎসুক ক্রেতাদের রোষানলে পড়ে বয় মং। পরে ভেজাল মধু নিয়ে রেলওয়ে স্টেশনে চলে যায়।

একপর্যায়ে সেখানেও মদের খালি নোংরা বোতলে মধুভর্তি বস্তা নিয়ে আখাউড়া ছেড়ে যেতে বাধ্য করে জনতা। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক দলে ভাগ হয়ে আখাউড়ায় মদের বোতলে করে ভেজাল মধু বিক্রয় করছে প্রতারক চক্রটি।

আখাউড়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শহরের ব্যবসায়ী মো. আতিকুর রহমান বলেন, এ ধরনের ভেজাল খাদ্যসামগ্রী মদের বোতল ভর্তি করে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে বিক্রয় করলেও তা নিয়ন্ত্রণ বা রোধ করার কেউ নেই। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।আখাউড়া থানার এসআই তাজুল ইসলাম জানান, এ ধরনের ভেজাল মধু বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

জহির সিকদার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে