পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে হত্যায় অংশ নেয়, ৭-৮ জন। যাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে, ওয়াসিম ও আনোয়ার নামে দুজন। শনাক্ত হয়েছে বাকিরাও। ঘটনার ২১ দিনের মাথায় বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন, সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার। বলেন, ওয়াসিমের গুলিতেই মারা গেছেন মিতু। তবে কেন তাকে হত্যার করা হলো, এখনো উদঘাটন হয়নি সেই রহস্য। এদিকে, গ্রেপ্তার দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, আদালতে। নানা আটকীয়তা শেষে, ঘটনার ২১ দিন পর এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলা তদন্তে অগ্রগতির কথা জানালো পুলিশ।

গেল কয়েকদিনে বেশ কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের কথা শোনা গেলেও শেষপর্যন্ত হত্যাকান্ডে জড়িত দুজনকে আটকের কথা স্বীকার করে সিএমপি কমিশনার জানান, ঘটনায় বিভিন্ন পর্যায়ে অংশ নেয় ৭ থেকে ৮জন। এরমধ্যে আটক ওয়াসিমই গুলি করে মিতুকে। তবে কেন মিতুকে খুন করার হলো তার মূল রহস্য জানাননি পুলিশ কমিশনার। তিনি এটাকে টার্গেট কিলিং বললেও এর সাথে কোন গোষ্ঠী কিংবা ব্যক্তি জড়িত কিনা তা স্পষ্ট করেননি।

স্ত্রী হত্যার ঘটনায় এরআগে প্রায় ১৫ ঘন্টা পুলিশী হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় স্বামী বাবুল আক্তারকে। তাকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তা পরিষ্কার না করলেও তদন্তের স্বার্থে আলোচনা হয়েছে বলে দাবি সিএমপি কমিশনারের। এ ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে আটক ওয়াসিম ও আনোয়ার। এরমধ্যে ওয়াসিমের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ায়। আর আনোয়ারের বাড়ি ফটিকছড়ি। ওয়াসিমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ৮ টি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। এদিকে, মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই কিছু গণমাধ্যমে মিথ্যা খবর প্রকাশ করছে বলে দাবি করেছেন এসপি বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন। গেল ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ে বাসার ১শ গজের মধ্যে খুন হন মাহমুদা মিতু।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে