জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া তথ্য প্রকাশ পেলে সরকার জড়িয়ে পড়বে, এমন আশঙ্কায় গ্রেপ্তার হওয়া অপরাধীদের ক্রসফায়ারে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে হোটেল পূর্বাণীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ অভিযোগ তোলেন তিনি। এ সময় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে পরোয়ানা ছাড়াই গণ গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ-র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতের প্রসঙ্গ টেনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দুই-একটা যদি অপরাধী ধরা পড়েও, প্রকৃত অপরাধী কি না জানি না, সেই অপরাধীকেও দেখা যায়, জেলে নিয়ে যায়, তারপর রিমান্ডে, রিমান্ড থেকে আর সে জেলখানায় ফেরত যায় না বা বাবা-মার কাছেও ফেরত যায় না। ‘সে এমন কিছু তথ্য দিয়ে দেয়, যার ফলে দেখা যাবে সরকারই জড়িয়ে যাবে। সেজন্য তাকে তখন ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়।’
শনিবার সকালেও মাদারীপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিম নামে এক তরুণ নিহত হন, তিনদিন আগে এক কলেজশিক্ষককে হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে যাকে ধরিয়ে দিয়েছিল জনতা। এখন গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে না অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, “আদালত নির্দেশ দিয়েছে কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে ধরতে পারবে না। সাদা পোশাকে লোকজন কেউ কিন্তু রাতে বেলা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। সেই নির্দেশও মানা হচ্ছে না। এরা আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত মানে না। “উল্টো তারা আদালতকে নির্দেশ দেয়, আদেশ দেয় যে- তাদের কী করতে হবে, কী করতে হবে না। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।”
খালেদা বলেন, “বাংলাদেশে আজকে তিনি (শেখ হাসিনা) যে বসে আছেন, তিনি কি দেশের প্রধানমন্ত্রী না কি তিনি অন্য কোনো মন্ত্রী হিসেবে আছেন কি না, সেটা বলা মুশকিল।
“আজকে দেশের মানুষ মনে করে তিনি (শেখ হাসিনা) প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি নামে প্রধানমন্ত্রী। তিনি অন্যের নির্দেশ পালন করেন। কাজেই তাকে প্রধানমন্ত্রী বলা যায় না।”