ঝিনাইদহঃ যুবরাজের ওজন ৩৫ মন। দাম উঠেছে ১৮ লাখ টাকা। কিন্তু মালিক ২৫ লাখ ছাড়া বিক্রি করবেন না। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের এই যুবরাজ কোনো রাজপুত্র নন, শাহ আলম মিয়ার একটি ফ্রিজিয়ার ষাঁড়। শখ করে যার নাম রাখা হয়েছে যুবরাজ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটা একটা হাতি। ইতিমধ্যে পাইকাররা যুবরাজের দাম হেকেছেন ১৮ লাখ টাকা। আর শাহ আলম বলছেন তিনি ২৫ লাখ দাম চাচ্ছেন, কিছু কম হলেও বিক্রি করবেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শাহ আলম মিয়ার পৈত্রিক বাড়ি মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলায়। প্রায় ৭ বছর আগে এক বন্ধুর হাত ধরে এই গ্রামে চলে আসেন। বর্তমানে এখানে স্থায়ি ভাবে বসবাস করেন। স্কুল ও কলেজ জীবন শিবচরে কেটেছে তার। পরে অর্থ উপার্যন করতে বিদেশে যান। ৫ বছর সিঙ্গাপুরে থাকার পর দেশে ফিরে আসেন। এরপর বিদেশের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন। এই ব্যবসার প্রয়োজনে ৩৫ টি দেশে ঘুরেছেন তিনি। পরে ঝিনাইদহে এসে গড়ে তোলেন আব্দুল্লাহ এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্ম। প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় করে বাড়ি এবং বাড়ির সঙ্গে এই ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন। ৩ বছর হলো এই খামারে গরু লালন-পালন করেন। বর্তমানে তিনি এই খামারেই সময় দেন। এগুলো লালন-পালন করে যা আয় করেন তা দিয়ে সংসার চালান। শাহ আলম জানান, বর্তমানে তার খামারে ৭ টি গরু আছে। সবগুলো গরুর আলাদা আলাদা নাম আছে। তিনি সবাইকে নাম ধরেই ডাকেন। আসন্ন ঈদুল আযাহায় তিনি যে তিনটি গরু বিক্রি করবেন সেগুলোর নাম যুবরাজ, রবি ও সাহেব। বাকি চারটা আগামী বছর বিক্রি করবেন বলে জাানন। শাহ আলম আরো জানান, তিন বছর তিনি এই খামার করেছেন। যুবরাজকে তিনি খামার শুরুর সময় নিয়েছিলেন। মাত্র ৬ মাস বয়স সময়ে নিয়েছিলেন, এখন তার বয়স ৩ বছর ৬ মাস। যুবরাজের পেছনে এখন পর্যন্ত তার ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছেন তার এই গরু দেখতে। গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা জানান, শাহ আলম মিয়া গরুর সঙ্গে কথা বলে। সে নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হাফিজুর রহমান জানান, তারা গরুটির ওজন আনুমানিক ৩৫ মন বলে ধারনা করছেন। ঈদ আসতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে। এরই মধ্যে আরো কিছু ওজন বাড়বে বলে মনে করছেন। অবশ্য গরুর ওজন আরো বেশি হবে বলে তিনি দাবি করেছেন।
জাহিদুর রহমান তারিক,
ঝিনাইদহ নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ