মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষক হত্যা চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিম গুলিতে নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. সরোয়ার হোসেন। পুলিশ বলছে, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল শুনানি শেষে ফাহিমকে ১০ দিনের রিমান্ড নেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে ফাহিমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মাদারীপুরের সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচর গ্রামে অভিযান চালানো হয়। সে সময় তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে, বাকিরা পালিয়ে গেলেও ফাহিম নিহত হয়। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যও আহত হোন। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. এমরানুল রহমান বলেন, ‘পুলিশ একটা আসামি নিয়ে আসছে পরে আমরা জানতে পারি ওর নাম ফাহিম। আমরা থাকে মৃতই পেয়েছি। তার বুকে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে।’ এরআগে এক প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনায় আটক ফাহিমকে নিয়ে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার কয়েক দফা অভিযান চালান তারা। ফাহিমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকার উত্তরা থেকে একটি কম্পিউটারও জব্দ করা হয়। নিয়মিত ইমেইল-এর মাধ্যমে বিদেশে জঙ্গি সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতো বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় ফাহিম। তাদের মিশন সফল হলে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়ার কথাও স্বীকার করে সে।
গত ১৫ জুন বিকেলে মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের সামনে কলেজের শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীর ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালানোর সময় ফাহিমকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।