দেশের গণমাধ্যমে আর পাঁচটা সংবাদের মতো, প্রায় নিয়মিতই খবর হয় ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতন। আলোচনার খোরাক হয়েছে তাদের বাড়ি, উপাসনালয়, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, কখনওবা হত্যা।
মানবাধিকারকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা বলছেন, সরকারের উদাসিনতা ও বিচারহীনতায় বেড়েছে নির্যাতন। সেই সঙ্গে বেড়েছে দেশত্যাগে বাধ্য হওয়ার সংখ্যাও। ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে ঘর পুড়েছে, পুড়েছে উপাসনালয়-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। আবার ধর্ম নিয়ে ভিন্নমতের কারণে টার্গেটে কিলিংয়ের শিকার হচ্ছেন ব্লগার, লেখক, প্রকাশক। রেহাই পাচ্ছেন না সংখ্যালঘুরাও।
দেশের রাজনীতি যখনই গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে, তখনই নানাভাবে সামনে এসেছে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু বিষয়টি। সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ার চেতনায় স্বাধীন হলেও, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, হুমকি, জমিদখল, আর এ কারণে দেশত্যাগের ঘটনা, প্রায়ই বিব্রতকর করে বিবেকবান মানুষদের।
মানবাধিকার কর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘুরা যে আস্থা ও বিশ্বাসহীনতায় ভুগছিলেন, তা যেন এখন চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে। বিচারহীনতা, প্রশাসনের উদাসিনতায় তাদের বাধ্য করছে নীরবে দেশত্যাগে।
স্বাধীনতার আগে-পরে আদমশুমারিগুলো বলছে.প্রতি বছরই কমেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা। সবশেষ আদমশুমারিতেই কমেছে প্রায় নয় লাখ। এ মানবাধিকার কর্মীর মতে, সংখ্যালঘুদের ক্রমশ কোনঠাসা করার ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সরকার পদক্ষেপ না নিলে ঠেকানো যাবে না এ দেশত্যাগ। এদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাওয়ার যে খবর বেরিয়েছে পিটিআইয়ে, তা অস্বীকার করেছেন রানা দাশগুপ্ত।