ঈদকে সামনে রেখে চলছে ভাঙাচোরা ও পুরাতন বাস মেরামতের কাজ। বেশি মুনাফা করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন অনেক পরিবহন ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, পুরাতন গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়া রাস্তায় নামানো, অতিরিক্ত ট্রিপ দিতে চালকদের বেপরোয়া গতি, ট্রাফিক আইন না মানার কারণে ঈদের সময় বেড়ে যায় সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্ঘটনা রোধে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার বিকল্প নেই। চলছে জোর প্রস্তুতি। সেরে নেয়া হচ্ছে জোড়াতালির কাজ। সময় নেই সামনে ঈদ। যেভাবেই হোক পুরাতন বাসগুলো মেরামত করে নামাতে হবে রাস্তায়। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যমতে, ঈদের সময় শুধুমাত্র ঢাকা থেকে প্রতিদিন সড়ক পথে যাতায়াত করে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ। ঈদের বিশাল বাজার ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তাই পুরাতন বাসগুলো কোনো রকম মেরামত করে প্রস্তুত করেন রাস্তায় নামানোর জন্য। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আসলেই এই গাড়িগুলো রাস্তায় চলাচলের কতটা উপযোগী কিংবা ঝুঁকিমুক্ত। বেসরকারি এক জরিপে দেখা যায়, বিগত বছরগুলোতে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার ৩৫ থেকে ৪০ ভাগই ঘটেছে ঈদের সময়। প্রশ্ন উঠেছে এসব প্রস্তুতি কি যাত্রী সেবার জন্য? নাকি ঈদের বাড়তি চাপ পুঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফারুক তালুকদার সোহেল বলেন,‘ সারা বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ গাড়ি চলে তার মধ্যে যে কিছু দুষ্ট মালিক নেই যারা তাদের গাড়িগুলোকে আপডেট করছে না এই রকম অনেকেই আছে। ঈদে যে পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে তা নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা আমার নেই।’ যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবহণ সংখ্যা কম থাকায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনে মেতে ওঠেন বাস সংশ্লিষ্টরা। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই সময় যেসকল দুর্ঘটনা ঘটে তার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চালকরা দায়ী। কারণ তারা ট্রিপ সংখ্যা বাড়াতে চায়। এটা যাতে না হয় সেজন্য হাইওয়ে পুলিশকে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ সমিতির তথ্যমতে, মাত্র ৬ হাজার বাসে ঈদের ৩দিন সড়ক পথে যাতায়াত করেন ২০ লাখেরও বেশি যাত্রী।