আপনি কি বিদেশে পড়তে যেতে চান? তাহলে প্রথমেই নিজেকে প্রশ্ন করুন- কেন বিদেশে পড়তে চান। কেননা এসবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আপনার ভবিষ্যৎ। তাই কারণ যাই হোক, নোট বইয়ে সে সব লিখুন।
প্রাথমিক শর্তঃ পড়াশোনার মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করাই প্রধান কাজ। পরীক্ষার ফলের চেয়ে সত্যিকার শিক্ষা কাজে আসবে এখানে। তাই ইংরেজিতে দক্ষতা থাকতে হবে। যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাচ্ছেন তার খরচ বহন করা আপনার পক্ষে সম্ভব কি-না, সেটাও মাথায় রাখুন। আর -GRE, SAT, GMAT এবং IELTS বা TOFEL-এ ভালো স্কোর না থাকলে বিদেশে পড়াশোনার চেষ্টা না করাই ভালো। কারণ এসবে ভালো স্কোর না থাকলে বৃত্তি মিলবে না- এটি নিশ্চিত।
কোর্স বাছাইঃ পেশাগত উন্নতির পাশাপাশি সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছতে কোন পেশা আপনার জন্য উপযুক্ত তা খুঁজে বের করুন। কাঙ্ক্ষিত কোর্সে পড়াশোনা শেষে কোথায় কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলবেন এবং সেখানে এর সুবিধা বা সম্ভাবনা এবং অসুবিধা ও প্রতিবন্ধকতার মাত্রা কতটুকু তা যাচাই করুন।
ক্রেডিট ট্রান্সফারঃ দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো একটি কোর্সে কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন বা করছেন। এখন আপনি ওই কোর্সেই বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে দেশে সম্পন্নকৃত কোর্সটির ক্রেডিট গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এক্সেমশন দাবি করতে পারেন। আপনার কোর্সটির জন্য কতটুকু ক্রেডিট পাবেন তা নির্ধারণ করবে ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দেশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনঃ ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকে। কারণ একেক দেশে পড়াশোনার সুযোগ-সুবিধা একেক রকম।
স্কলারশিপের খোঁজখবরঃ অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়েই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। সেসব বিশ্ববিদ্যলয়ের খোঁজ খবর নিন।বর্তমানে প্রায় প্রতিটি দেশেরই বিভিন্ন বিভাগের নিজস্ব সরকারি ওয়েবসাইট আছে। নির্দিষ্ট দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট খুঁজে ভিজিট করুন এবং সেখানকার শিক্ষা ব্যাবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খরচ, স্কলারশিপ তথ্য, আবাসন ব্যবস্থা, জীবনধারা, আবহাওয়া, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর উপযুক্ত দেশ নির্বাচন করুন।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ