জঙ্গি ও সন্ত্রাসী ধরার সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণার পর থেকেই মারমুখী অবস্থায় পুলিশ। গতরাত থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে গ্রেপ্তারের সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি।
কিন্তু টার্গেট কিলিংয়ের সাথে জড়িত কেউ কি ধরা পড়েছে ? এমন ঘোষণা দিয়ে দুর্ধর্ষ অপরাধীদের গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিশ্লেষকদের। আশংকা আছে, গ্রেপ্তার বাণিজ্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনের হাতিয়ার হিসেবে অভিযানকে ব্যবহারেরও। টার্গেট কিলিং। যার সবশেষ শিকার পাবনার একটি আশ্রমের সেবক।
গত রোববার চট্টগ্রামে খোদ একজন পুলিশ সুপারের স্ত্রী দিনে দুপুরে একই কায়দায় খুন হবার পর সমালোচনা শুরু হয়ে দেশজুড়ে। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দ্প্তর ঘোষণা দেয় শুক্রবার থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ধরতে ৭ দিনের সাঁড়াশি অভিযানের। সেই সাথে পুলিশ সুপারের স্ত্রীর হত্যার ঘটনা বর্রোরোচিত ও খুনিদের কাপুরুষ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। আইজিপির এ ঘোষণার পর থেকেই ব্যাপক অভিযানে নামে পুলিশ।
রংপুরে ১৬২, চট্টগ্রামে ১৫৭ এবং সিলেটে ১৫১ জন গ্রেফতার হয়েছে বিভিন্ন অভিযোগে। পুরো দেশে যা ছাড়িয়ে গেছে হাজারের ঘরকেও। সমাজ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের প্রশ্ন এমন ঘোষণা দিয়ে আসল অপরাধী ধরার অভিযানের সফলতা নিয়ে। তাদের মতে যেখানে চিহ্নিতই করা যাচ্ছে না, কারা ঘটাচ্ছে একের পরে এক খুন সেখানে আগাম ঘোষণা পিছিয়ে দেবে পুলিশকেই।
অভিযান যেন বিরোধীমত দমন করার হাতিয়ার আর পুলিশের গ্রেপ্তার বাণিজ্যের কারণ না হয় সেই আশংকা কথাও জানান তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, একেকটি খুনের পর রাজনীতির মাঠ থেকে আগাম বক্তব্য, শুরুতেই ক্ষতিগ্রস্ত করে তদন্তকে। তাই নীরবে মুল হোতাদের গ্রেপ্তার করে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দেয়া উচিত পুলিশের।