নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া মিশন পল্লীতে সুনীল গোমেজ নামে এক খ্রিস্টান ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত সুনীলের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কারো কোন বিরোধ ছিলোনা বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। তবে কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নাটোরের বনপাড়ার নিশনপল্লীতে এক খ্রিষ্টান ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার বেলা ১২টার দিকে তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশটিকে উদ্ধার করে। এদিকে নিহতের স্বজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, কে বা কারা এই হত্যার সঙ্গে এ ব্যাপারে এখনও তারা সুনির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে পারছেন না।
দোকানসংলগ্ন যে বাড়িতে স্ত্রী জাসিনকা গোমজকে নিয়ে থাকতেন সুনীল। তার বাড়ির কাছেই থাকেন তাদের মেয়ে স্বপ্না গোমেজ। স্বপ্না বলেন, তাদের বাসা বাবার বাসা থেকে দুই বাড়ি পরে। তারা কেউ কোনো শব্দ শোনেননি। “দুইজন ভ্যানঅলা যাওয়ার সময় বাবার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তারাই আমাকে খবর দেন।”
সুনীলের সঙ্গে এলাকায় কারও কোনো বিরোধ ছিল না জানিয়ে মেয়ে স্বপ্না বলেন, তারা এই খুনের কারণ বুঝে উঠতে পারছেন না। এদিকে ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেছে।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই দয়াল কুমার সাংবাদিকদের বলেন, দোকানে ছিলেন সুনীল গোমেজ। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দৌড়ে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।
সুনীলের ঘাড়ের পেছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে এসআই দয়াল জানিয়েছেন।এদিকে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। সুনীল গোমেজের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
প্রসেনজিত কুমার
নাটোর প্রতিনিধি, বিডি টাইম্স নিউজ।