বাংলাদেশে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের জন্য ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার নতুন বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী যেসব পণ্যের দাম বাড়বে, তার মধ্যে রয়েছে সিগারেট, বিড়ি, তামাকজাত পণ্য, ওয়াশিং মেশিন, এসি, আমদানি করা চাল, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের আমদানি করা বই, কাগজ ও কাগজজাত পণ্য, হোটেল নির্মাণ যন্ত্রাংশ ইত্যাদি পণ্যের দাম বাড়বে। কারণ এসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
ভ্যাটের আওতায় আনায় বিস্কুট পাউরুটিসহ বেকারি সামগ্রীর দাম বাড়বে। ট্রাভেল এজেন্সি, ছোট বিজ্ঞাপন, মেডিটেশন সেবাও ভ্যাটের আওতায় আনা হয়েছে।
আমদানি করা কৃষি যন্ত্রপাতি, আইপিএস, ইউপিএস, ট্রান্সফর্মার, এয়ারকুলার, সুগন্ধি, লোহা, স্টিল ইত্যাদি পণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিম ও সিম কার্ডের উপর বর্তমান শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে মোবাইল সেবার খরচও কিছুটা বাড়বে। অন্যদিকে স্ট্যাবিলাইজার ফর মিল্ক, এলপিজি সিলিন্ডার, ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল, স্মার্ট কার্ডের যন্ত্রাংশ, দেশি মোটরসাইকেল তৈরির যন্ত্রাংশ, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রাংশ, ভিডিও কনফারেন্স ডিভাইস, সাইবার সিকিউরিটির যন্ত্রাংশ, ফায়ার বোর্ড, কফি মেট, পেট্রোলিয়াম জেলি, ও এলইডি যন্ত্রাংশের দাম কমবে। এসব পণ্যের সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ট্যালকম পাউডার, হাসপাতাল কর্তৃক আমদানিকৃত মরচুয়ারি, পোশাক শিল্পের কাটিং টেবিলের যন্ত্রপাতি, বিটুমিনাস কয়লা, বায়ো গ্যাস প্লান্টের যন্ত্রপাতি, কাঁচা রাবার ইত্যাদি পণ্যের দাম কমতে পারে।
তবে বাজেটে প্রস্তাব করা হলেই যে দাম বাড়ে বা কমে তা নয়। বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাবে অনেক সময় পরিবর্তন হয়ে থাকে। বাজেটে আয়ের উৎস হিসাবে ভ্যাটের উপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা আগের বছরের মতোই থাকছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নারী ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৩ লাখ টাকা।