২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ থাকতে পারে জিডিপি’র ২ দশমিক ২ শতাংশ অর্থ। বিশ্লেষকরা বলছেন, দারিদ্র বিমোচনে এ খাতে বরাদ্দ আরো বাড়ানো প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের প্রকল্পগুলোর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে প্রকৃত সুবিধা বঞ্চিতদের পরিস্থিতি উন্নয়নে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা থাকা উচিত বলেও মনে করেন তারা।
প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনের কারণে বাস্তুহারা হন অনেক মানুষ। সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় এসব অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের কথা থাকলেও বাস্তবে কোন সাহায্যই পান না অনেকে। আর নদীগর্ভে পৈত্রিক ভিটা হারিয়ে নি:স্ব এসব মানুষ আশ্রয় নেয় রাজধানীর পথে ঘাটে। নীতি নির্ধারকদের চোখের সামনে মানবেতর জীবন কাটালেও জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারি আমলা কেউই খোঁজ রাখেন না ভাগ্য বিড়ম্বিত এসব মানুষের।
পরিসংখ্যান ব্যুরো’র তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখনো মোট জনগোষ্ঠীর ২১ শতাংশই দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। আর এবারের বাজেটে সেসব মানুষের জন্যই বরাদ্দ রাখা হচ্ছে জিডিপি’র ২ দশমিক ২ শতাংশ অর্থ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় এ অর্থ পর্যাপ্ত নয়।
অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ হলে সেটি দেখা যাচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আর আমরা এখন ২ বা আড়াই শতাংশ বরাদ্দের মধ্যে অবস্থান করছি। এর মধ্যেও যদি অপচয় হয়, তাহলে কিন্তু আমরা প্রকৃত পক্ষে ১ শতাংশের মতো বাস্তবায়নের মধ্যে থাকছি। তবে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে নেয়া কর্মসূচিগুলোর স্বচ্ছতা এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংস্কার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়েও আরো বেশি সুফল পাওয়া সম্ভব বলে মত অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশের।
সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি তা শতভাগ কাজে লাগাতে এ খাতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বাড়ানোরও তাগিদ দিলেন তারা।