সাহিত্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক আয়োজন ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’ সাহিত্য উৎসব শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। এ আয়োজনের শেষ তথা তৃতীয় দিন চলছে আজ শনিবার। উৎসব আয়োজনে সহায়তা করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমি। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে বাংলা ট্রিবিউন।এবারের আসরে অংশ নেন দেশি-বিদেশি খ্যাতিমান সাহিত্যিকরা। তাদের মতে, সাহিত্য চর্চার তথ্য আদান-প্রদানে এ ধরণের আয়োজন প্রতি বছরই হওয়া উচিত।
ঢাকা লিট ফেস্টের শেষ দিন শুক্রবারের প্রথম ভাগে ছিল ‘সেভেন্টিওয়ান পোয়েমস’ সেশন। আলোচনার বিষয় ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা কবিতার সংকলন- ‘পিস অ্যান্ড হারমনিঃ সেভেন্টিওয়ান পোয়েমস ডেডিকেটেড টু শেখ হাসিনা’।আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম,কবি কামাল চৌধুরী, কবি মোহাম্মদ সামাদ,আবুল আজাদ, সংকলন সম্পাদক আহমেদ রেজা, ব্যক্তিবর্গ।উক্ত সংকলনটি প্রকাশ করেছে ‘গল্পকার’ প্রকাশনী।
শনিবারের প্রথম দিবসে ভাষার বৈচিত্র্য নিয়ে কথা বলতে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রহমান মঞ্চে ওঠেন কবি কামাল চৌধুরী, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জিনাত ইমতিয়াজ আলী এবং ভাষা গবেষক সৌরভ শিকদার। এ আলোচনার মূল আলোচক ছিলেন গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গর্গ চট্টপাধ্যায়।আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এবং লিঙ্গুইস্টিকস সার্ভে অব বাংলাদেশের যৌথ গবেষণায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ২০ ভলিউমের ভাষা বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থ। বক্তারা মূলত উক্ত জরিপ নিয়েই আলোচনা করেন।
আলোচনায় কবি কামাল চৌধুরী ভাষা বিষয়ক পূর্ববর্তী গবেষণার সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন।কবি কামাল চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় নৃগোষ্ঠীর ভাষার বিভিন্ন সংখ্যা আলোচিত হয়েছে। ফলে আসল সংখ্যাটি জানা দুষ্কর বলা চলে। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, পিটারবাটুলির গবেষণায় ১২টি নৃ-ভাষা পাওয়া যায়, এরপরের গবেষক সামাদের গবেষণায় আরও কিছু ভাষা যুক্ত হয়। সর্বশেষ এশিয়াটিক সোসাইটির একটি গবেষণা ও জরিপে ৪৫টির মতো নৃ-ভাষা পাওয়া যায়।
বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করতে লিট ফেস্টের মতো আয়োজন খুব বেশী প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা।দেশী-বিদেশী নবীন প্রবীন কবি-সাহিত্যিকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণ। এমন উৎসব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সাহিত্যের উন্নয়ন ঘটায় বলেও মনে করেন তারা।দেশী-বিদেশী কবি-সাহিত্যিকদের এমন মিলনমেলা নবীন লেখকদের ভাবনা আরো গতিময় করবে বলে মন্তব্য নতুন প্রজন্মের।গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে উপচে পড়ে দর্শনার্থীরা। তাদের মতে, সাহিত্য চর্চার তথ্য আদান-প্রদানে এ ধরণের আয়োজন প্রতি বছরই হওয়া উচিত।
প্রতিবারের ন্যায় এইবারও বাংলা সাহিত্যে লেখকদের জন্য জেমকন সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়।সেই ধারাবাহিকতায় এবার জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পেলেন কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা এবং দুই তরুণ লেখক হামিম কামাল ও হাসান নাঈম।আজ শেষ দিন শনিবার সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠান। উৎসব সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইমস নিউজ