শহিদুল ইসলাম দইচঃ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, যশোর জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ, যশোর পৌরসভায় নির্মিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও মণিহার এলাকায় বিজয় স্তম্ভের প্রাচীরসহ অন্তত ৮ নামফলক ভাংচুর করেছে ছাত্র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। তবে, এই ঘটনার সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে প্রথমে কয়েকজন ছাত্র এসে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলে। ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে করে ২৫-৩০ জন যুবক সেখানে যায়। এরপর তাদের হাতে থাকা লোহার পাইপ, হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে তারা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এরপর তারা জেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালও ভেঙে ফেলে। পরে তারা যায় পুরাতন কসবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে উদ্বোধক হিসেবে থাকা শেখ হাসিনার নামফলক ভাঙচুর করে। এ সময় তারা যশোর পৌরসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অর্ধেক ভাঙা ভাস্কর্যটিও পুরোপুরি ভেঙে ফেলে দেয়। ভেঙে ফেলেন যশোর ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স অফিসের উদ্বোধনী নামফলকও।

পরে একে একে ওই যুবকরা শহরের অন্তত আটটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে যেখানে শেখ হাসিনার নামফলক ছিল সেসব ভেঙে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের ‘বিজয় স্তম্ভে’ থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও সেখানকার নামফলক ভাঙা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত ইসলামের বই ) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, এই ধরনের কোনও ঘটনা আমার জানা নেই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভাঙচুরকারীরা ‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবার ‘ স্লোগান দিয়ে ভাংচুর চালায়। তাদের সাথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই। ভাঙচুরের বিষয়ে আমাদের কোনও নির্দেশনা ছিল না।

যশোর নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে