অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা, অবকাঠামোগত সমস্যা আর সুষ্ঠু পরিকল্পনা না থাকায় বিশ্ববাজারে ইতিবাচক বাংলাদেশের পরিচিতি ব্যহত হচ্ছে। আর দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্রান্ডিংয়ে পিছিয়ে পড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে নজর কাড়তে পারছেনা দেশি পণ্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশিও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন কাজ প্রতিশ্রুত সময়ে শেষ করার পাশাপাশি দরকার পরিকল্পিত ইতিবাচক প্রচার।
পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত, সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনের দেশ বাংলাদেশ। পাহাড়ের সৌন্দর্য্য কিংবা সমতল ভুমির চোখ জুড়ানো সবুজ দেখা মেলে এখানে। সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান কিংবা হালে মায়ানমার থেকে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া মানবিক দেশ, বাংলাদেশ। কিন্তু এই সব অর্জনই মলিন হয়ে যায়, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দল, দুর্নীতি ও অনিয়মের কাছে।এসিআই কনজুম্যার ব্র্যান্ড এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আলমগীর বলেন, ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড ব্রান্ডিং এখনো আমাদের হয়নি। গ্যাস, ইলেক্ট্রিসিটি আর রোড এই তিনটির উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন হবে, ব্রান্ডিংও হবে।’ দেশের উৎপাদিত জিনিস রপ্তানির ক্ষেত্রে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগে যেতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘প্রমাণ করতে হবে আমরা ভালো মানের পণ্য তৈরি করতে পারি।তবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা প্রতিবন্ধকতার পরও বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখে দেশের সাধারণ মানুষই। আর তাই বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ বৃহৎ দেশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই অর্জনগুলোকে তুলে ধরতে হবে বিশ্ববাজারে।মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর নির্বাহী পরিচালক(মার্কেটিং) আসিফ ইকবাল মতে, এখন সময় এসেছে পৃথিবীকে জানানোর যে, বাংলাদেশ একটি আলোকিত দেশের দিকেই ধাবিত হচ্ছে।গুণমানে সেরা হয়েই একদিন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশও স্থান করে নেবে স্বকীয়তা নিয়ে এমন স্বপ্নই দেখেন দেশের মানুষ।
হুমায়রা তাবাসসুম
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ