সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। আশা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে তিনি বাংলাদেশে আসবেন। মঙ্গলবার (পহেলা নভেম্বর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে রিয়াদের ডিজিটাল সিটির ক্রাউন প্লাজা হোটেলে ৩০-৩১শে অক্টোবর যৌথ কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশ-সৌদির মধ্যে ১৪তম যৌথ কমিশন সভা।
সভার বিষয় তুলে ধরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান জানান, সৌদি যুবরাজকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করা হচ্ছে, সৌদি যুবরাজ বাংলাদেশে সফর করবেন। এ সফর দুই দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বাণিজ্যিকভাবে এলএনজি সরবরাহ ও ইস্টার্ন রিফাইনারি ইউনিট-২ প্রকল্পে বিনিয়োগ ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সৌদি আরব।
মঙ্গলবার ইআরডি থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জরুরিভিত্তিতে বাণিজ্যিকভাবে এলএনজি সরবরাহ ও ইস্টার্ন রিফাইনারি ইউনিট-২ প্রকল্পে সৌদির বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ অনুরোধ জানালে সৌদি আরব সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইআরডি সচিব। সৌদি আরবের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ড. আব্দুল্লাহ বিন নাসের বিন মোহাম্মদ আবুথনাইন।
সভায় সৌদি আরব ও বাংলাদেশ জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনে সম্মত হয়। টাস্কফোর্স জ্বালানি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে দুদেশের সুবিধাজনক সময়ে নিয়মিত সভা করবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যৌথ কমিশন সভায় বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। দুদেশের নৌ পেশাজীবীদের মধ্যে নিয়োগ, প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সৌদি আরবের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ এবং ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের মধ্যে একটি জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনে সমঝোতা স্মারক সই হয়।