ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে নোয়াখালী ও নরসিংদীতে। নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক হাজার গাছ উপড়ে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক’শ কাঁচা ঘরবাড়ি। অনেক পরিবারের দিন কাটছে এখন খোলা আকাশের নিচে। এদিকে, নরসিংদীতে নষ্ট হয়ে গেছে অর্ধসহস্র হেক্টর জমির কলা ও গাছ। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষীরা। প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে সোমবার রাতে শিশু কন্যা স্নেহাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আমেনা বেগম। রাত ৩টার দিকে ঘরের পাশে থাকা একটি গাছ উপড়ে পড়ে তাদের ঘরের উপর। গাছের চাপায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় ঘরটি। ঘটনাস্থলে মারা যায় স্নেহা।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে গাছপালা পড়ে এভবেই বিধ্বস্ত হয় নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা। অনেকে এখনো দিন কাটাচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। সিত্রাংয়ের আঘাতে জেলার নয়টি উপজেলায় প্রায় ৮’শতাধিক গাছ উপড়ে পড়ে ২’শর বেশি কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, দেশের অন্যতম কলা উৎপাদক জেলা নরসিংদীতে এবার ১ হাজার ৮০৮ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ করা হয়েছিলো। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে নষ্ট হয়ে গেছে সেখানকার অনেক বাগান। বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে জেলায় প্রায় ৪৩৫ হেক্টর জমির কলা এবং গাছ নষ্ট হয়েছে।