ওভার দ্যা টপ(ওটিটি) প্ল্যাটফর্ম নির্ভর কনটেন্ট প্রকাশের ওপর তদারকি, নিয়ন্ত্রণ ও রাজস্ব আদায়ে নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া হাইকোর্টে দাখিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা হালনাগাদ করার জন্য সময় আবেদন করায় আগামী ২৯’শে নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছে হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। আর বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।এ বিষয়ে বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব জানান, বিটিআরসি চূড়ান্ত খসড়া নীতিমালা দাখিল করা হয়েছে। এর আগে ১৩ জুন এক আদেশে এ বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ১৩’ই জুন তথ্য মন্ত্রণালয় ‘রেগুলেশন ফর ডিজিটাল অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মস’ বিষয়ে খসড়া নীতিমালা দাখিল করে। ২০২০ সালের ১৪ জুন ওয়েবভিত্তিক মিডিয়া সার্ভিস প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রকাশ করা দেশীয় সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধবিরোধী অনুপযোগী কনটেন্ট সরাতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ ও পরে রিট করে এক আইনজীবী। ২৪’ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবরে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ওই আইনি নোটিশের কোনো ধরনের অগ্রগতি না দেখে ১২’ই জুলাই জনস্বার্থে আইনজীবী তানভীর আহমেদ রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নির্ভর কনটেন্ট প্রকাশের ওপর তদারকি, নিয়ন্ত্রণ ও রাজস্ব আদায়ে একটি খসড়া নীতিমালা দাখিল করতে আদেশ দেওয়া হয়। একইসাথে রুলও দেওয়া হয়।এ’ছাড়া আদালত রুলও জারি করেছিলেন। রুলে ওয়েব সিরিজ সংক্রান্ত সব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে অনৈতিক ও আপত্তিকর ভিডিও কনটেন্ট পরিবেশন রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।একই সঙ্গে ওটিটি নির্ভর বিভিন্ন ওয়েবপেজ প্ল্যাটফর্ম তদারকির জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য সচিব, সংস্কৃতি সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর একটি খসড়া নীতিমালা করতে ৮ সদস্যের কমিটি করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)। পরবর্তীতে বিটিআরসি খসড়া নীতিমালা আদালতে দাখিল করে।