তৈরি পোশাক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্নবাণে জর্জরিত বাংলাদেশ। সোমবার রাতে এই ইস্যুতে শুনানি হয় ওয়াশিংটনে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন (ইউএসআইটিসি) এর আয়োজন করেন। যেখানে ভার্চুয়ালি বাণিজ্য সচিব ছাড়াও যোগ দেন বিজিএমইএ সভাপতি। প্রশ্নোত্তর পর্বে ইউএসআইটিসির চেয়ারম্যান ডেভিড জোহানসন ও তার তিন সহকর্মী বাংলাদেশে শ্রম অধিকার, শ্রম আইন, শ্রমিকদের উৎপাদনের তুলনামূলক দক্ষতা, মজুরিসহ নানা বিষয়ে জানতে চান। তাদের জিজ্ঞাসা- শ্রমিকের মজুরি, কারখানার কাজের পরিবেশ, স্বাস্থ্য সেবা ও শ্রম আইন সংশোধনে কি করছে বাংলাদেশ ?

ইউএসআইটিসির শুনানিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিজিএমইএ লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার পর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়। বাংলাদেশের পক্ষে বেশিরভাগ প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। এ ছাড়া শুনানিতে ২৪ মার্চ পর্যন্ত লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে। আগামী ৩০ আগস্ট কমিশন তাদের তদন্ত প্রতিবেদন ইউএসটিআরের কাছে উপস্থাপন করবে।

আলোচনায় একসময় উঠে আসে পোশাকের কাঁচামালের উৎসও। যেখানে বিজিএমইএর দাবি, বেশিরভাগ তুলাই আমদানি হয় ভারত থেকে। এ সময়, ব্র্যান্ডগুলোর কাছে পণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি তুলে বাংলাদেশ। সোমবার বাংলাদেশ ছাড়াও শুনানিতে অংশ নেয় ভারত, কম্বোডিয়াসহ মোট ৫ দেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধিরা। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের (ইউএসটিআর) অনুরোধে বাংলাদেশসহ এই পাঁচ দেশ নিয়ে তদন্ত শুরু করছে ইউএসআইটিসি। কীভাবে এ দেশগুলো মার্কিন পোশাকশিল্পের বাজারের এত বড় অংশ দখল করে রেখেছে, তা তথ্যানুসন্ধান করে দেখবে কমিশন। এই পাঁচ দেশের কেউ অসুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজার দখল করছে কি না, তা খুঁজে বের করাই প্রধান উদ্দেশ্য এ কমিশনের। অন্য চার দেশ হলো ভারত, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে