ইউরোপের বাজারে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৭’মাসে(জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত) তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। তবে আমেরিকা ও ভারতে ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। দুই বাজারেই পণ্যটির বিক্রি কমেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের আলোচ্য সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ১৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের ৭ মাসে ইইউ’র স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। তবে বৃহত্তম বাজার জার্মানি ও ইতালিতে হ্রাস পেয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের আলোচিত সময়ে আমেরিকার বাজারে ৪ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ প্রচলিত বৃহৎ বাজারে বাংলাদেশি পণ্যটির বিক্রি নিম্নমুখী হয়েছে। চলমান অর্থবছরের ৭ মাসে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় পোশাক রপ্তানি হয়েছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার এবং ৮৭১ মিলিয়ন ডলারের। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা ১২ দশমিক ৯৮ এবং শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে আলোচ্য সময়ে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের। আগের বছর তা ছিল ৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। পোশাক রপ্তানির প্রধান অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে রয়েছে-জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে এসব দেশে যথাক্রমে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ২৩ এবং ১৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে। তবে ভারতে ২১ শতাংশ ৮৬ শতাংশ কমেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে